রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু যেন জামিনে ছাড়া না পান, তা নিশ্চিত করতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
হাইকোর্ট জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়ায় গৌতম কুণ্ডু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ না করে ফের হাইকোর্টে যাওয়ার অনুমতি দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও আপত্তি তীব্র তুলেছে ইডি। ইডি-র তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি আজ আদালতে যুক্তি দেন, প্রতারণা, আর্থিক নয়ছয় এবং সেবি আইন লঙ্ঘনের অপরাধে অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডুকে কোনও ভাবেই জামিন দেওয়া উচিত হবে না। বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।
অর্থলগ্নি সংস্থা খুলে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে গত ২৫ মার্চ গৌতম কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে ইডি। নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে যান। গত ২১ জুলাই হাইকোর্টও জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পরই সুপ্রিম কোর্টে আসেন গৌতম। তারই শুনানিতে আজ গৌতমের আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম যুক্তি দেন, সেবি আইন ও আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনের যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, তা রোজ ভ্যালির কর্ণধারের বিরুদ্ধে প্রযোজ্যই হয় না। ওই আইনে গৌতমের বিরুদ্ধে যাবতীয় বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ার উপরে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। তাই সুব্রহ্মণ্যমের প্রশ্ন, যে মামলায় আইনি প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি হয়, সেই একই মামলায় কী ভাবে কাউকে জেলে আটকে রাখা যেতে পারে?
যুক্তি শুনে বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ জানান, সুপ্রিম কোর্ট এর মধ্যে নাক গলাতে চায় না। তবে জামিনের আবেদনটি খারিজ না করে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সুযোগ দিতে পারে। তাতে অভিযুক্ত চাইলে উপযুক্ত আদালতে নতুন করে জামিনের আবেদন করতে পারবেন। গৌতমের কৌঁসুলিরা এতে রাজিও হয়ে যান। কারণ, তিন মাসও হয়নি হাইকোর্ট রোজ ভ্যালির কর্ণধারের আবেদন খারিজ করেছে। তাই এখনই নতুন করে হাইকোর্টে আবেদন করে হয়তো লাভ হবে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হলে হাইকোর্টে যাওয়ার রাস্তা আরও বন্ধ হয়ে যেত। তাই সুপ্রিম কোর্ট ফের হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করার সুযোগ দিতেই তা লুফে নেন সুব্রহ্মণ্যম।
এতেই আপত্তি তোলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি উল্লেখ করেন, শুধু আর্থিক নয়ছয় ও সেবি আইন লঙ্ঘন নয়, প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে গৌতম কুণ্ডুর বিরুদ্ধে। সুব্রহ্মণ্যমের অবশ্য দাবি, রোজ ভ্যালিতে লগ্নি করে কারও টাকা মার যায়নি। কেউ এই ধরনের কোনও অভিযোগ করেনি। কিন্তু সেই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে রোহতগি প্রশ্ন তোলেন, হাইকোর্টের রায়ের পরে আর কোনও নতুন তথ্য কি উঠে এসেছে? কোনও নতুন তথ্য কি আদালতে পেশ করা হয়েছে? তা যখন হয়নি, তবে কেন নতুন করে জামিনের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে? দু’পক্ষের যুক্তি শোনার পরে বিচারপতি জানান, এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy