Advertisement
E-Paper

আরও পাঁচ কোটি টাকা! অনেক লেনদেন, অপার সম্পত্তির বহর বেড়েই চলেছে বলে আদালতে দাবি ইডির

আদালত সূত্রে খবর, ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অর্পিতার দুই সংস্থার নামে যে ক’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:৪১
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘নিয়োগ-দুর্নীতি’ মামলায় জেলবন্দি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সংস্থার নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এ বার কোটি কোটি টাকার লেনদেনের কথা জানতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বুধবার অর্পিতাকে আবার জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করতে গিয়ে আদালতে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সূত্রে খবর, ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অর্পিতার দুই সংস্থার নামে যে ক’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।

ইডি সূত্রে আগে অর্পিতার নামে থাকা দুই সংস্থা— ‘সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’-এর কথা প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবার আদালত সূত্রের দাবি, ‘ইচ্ছে’ সংস্থার দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত ২০১৭ সালের অগস্ট মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা জমা পড়েছে।

ইডির তরফে দাবি করা হয়, ‘ইচ্ছে’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা পড়ত, সেই টাকা দিয়েই কেনা হত সম্পত্তি। এ ভাবেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাহায্য করতেন অর্পিতা। যে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অর্পিতা দেখাশোনা করতেন, সেগুলিও খতিয়ে দেখা হয় বলে আদালতে জানায় ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অর্পিতার নামে তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা জমা পড়েছিল। যে টাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করতেন অর্পিতা।

আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে, এসএসসি নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অঙ্ক একশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইডির আইনজীবীরা দাবি করেন, আগে যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, তা ছাড়াও আরও দু’টি নতুন সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছিল। ওই ভুয়ো সংস্থাগুলিতে যে সমস্ত ডিরেক্টরের নাম রয়েছে তাঁরা সবাই ডামি (কাগুজে)। ইডি মনে করছে, ওই ভুয়ো সংস্থাগুলোর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল পার্থের হাতেই। তার মধ্যে অন্যতম ‘মেসার্স সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘ভিউমোর’। ইডির তরফে আদালতে দাবি, কলকাতায় রাসবিহারী কানেক্টরের কসবায় একটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। সেই সম্পত্তিটি কেনা হয়েছিল ‘সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’-এর নামে। যে সম্পত্তির বাজারমূল্য ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকারও বেশি। এর পাশাপাশি ৮, যামিনী রায় রোডেও একটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও আদালতে দাবি ইডির। ওই সম্পত্তির মালিকানা ‘ভিউমোর’-এর নামে। ইডির দাবি অনুযায়ী, সেই সংস্থার পরিচালন কাগজে-কলমে অন্য কারও হাতে থাকলেও আদতে তা নিয়ন্ত্রণ করতেন পার্থই। ইডির দাবি অনুযায়ী, নতুন দু’টি সম্পত্তির বাজারমূল্য ৬ কোটি টাকার আশেপাশে।

Partha Chatterjee Arpita Mukherjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy