Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শতাব্দীকে দেড় ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করল ইডি

ইডি-র তদন্তকারীরা জানান, ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবে সারদার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল শতাব্দীর।

ইডি-র দফতরে শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

ইডি-র দফতরে শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৪৭
Share: Save:

অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবে তিনি প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই অভিনেত্রী-সাংসদ শতাব্দী রায়কে সারদা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। শুধু সারদা নয়, প্রথম দফায় সাংসদ থাকাকালীন শতাব্দী আরও বেশ কয়েকটি অর্থ লগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি।

ইডি-র তদন্তকারীরা জানান, ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হিসেবে সারদার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল শতাব্দীর। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ২১ দফায় সারদার কাছ থেকে ২৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। ২০১৩-র ফেব্রুয়ারির পরে অবশ্য সারদা অর্থ লগ্নি সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটে থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত শতাব্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে

জানা গিয়েছে, ওই সাংসদের ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের আয়কর রিটার্ন, ব্যাঙ্ক আমানত ও সম্পত্তির যাবতীয় নথিপত্র নেওয়া হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা।

ওই সব নথি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে ফের তলব করা হবে শতাব্দীকে। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তিনি কী ভাবে সারদায় যোগ দিয়েছিলেন, সেই বিষয়েও এ দিন

ওই তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

ইডি-র দফতর থেকে বেরিয়ে শতাব্দী বলেন, ‘‘তদন্তকারীরা আমাকে কয়েকটি নথি জমা দিতে বলেছিলেন। আমি তা দিয়েছি।’’ তবে সারদা থেকে নেওয়া ২৯ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে শতাব্দী ইডি-কে কোনও চিঠি দেননি বলে জানান তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। পরে ইডি ফের তলব করলে তিনি আবার আসবেন এবং তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানান শতাব্দী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shatabdi Roy ED Saradha TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE