বীরভূমের বাসিন্দা সেই কৃপাময় ঘোষকে এ বার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। নিজস্ব ছবি।
অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রার দিনে শক্তিগড়ের রেস্তরাঁয় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও তিনি কী ভাবে অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বীরভূমের বাসিন্দা সেই কৃপাময় ঘোষকে এ বার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবারই কৃপাময়কে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।
নিজেদের হেফাজতে অনুব্রতকে নেওয়ার পরে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও তলব করেছে ইডি। তখনই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল, শুধু সুকন্যা নন, গরু পাচার মামলার তদন্তে অনুব্রতের মুখোমুখি বসিয়ে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ মোট ১২ জন সন্দেহভাজন ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। ঘটনাচক্রে, তার পরেই মণীশকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে ই়ডি। ইডির সূত্রের দাবি, ওই ১২ জনের তালিকাতেই কৃপাময়ের নাম ছিল। ছিলেন সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধাও। শক্তিগড়ের রেস্তরাঁয় অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে কৃপাময়ের সঙ্গে এই তুফানকেও দেখা গিয়েছিল।
গত ৭ মার্চ আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশে জেলা পুলিশ অনুব্রতকে কলকাতায় ইডির হাতে তুলে দেয়। তার আগে শক্তিগড়ে প্রাতরাশের সময়ে জনা দুয়েক ব্যক্তি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন। খাওয়ার ফাঁকে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন অনুব্রত। অনুব্রত তো বটেই, পুলিশ আধিকারিকদের খাওয়ার বিলও তাঁরাই মিটিয়েছেন বলে দাবি। তা জানাজানি হওয়ার পরেই কৃপাময় ও তুফানের নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আসে। ইডি সূত্রে খবর, কৃপাময় বোলপুরের নিচু বাঁধগোড়ার বাসিন্দা। পেশায় মৎস্য বিভাগের কর্মীও। বোলপুরের তৃণমূলের পার্টি অফিস দেখাশোনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের সূত্রেরও আরও দাবি, কৃপাময় অনুব্রতের নানান সম্পত্তির দেখাভালও করতেন। অন্য দিকে, মাসখানেক আগেই তুফানকে তলব করেছিল সিবিআই। সূত্রের দাবি, কিছু দিন আগে তাঁর নামে বিপুল সম্পত্তির হদিসও মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy