Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Bratya Basu

‘আমরা আলোচনা চাইলেও রাজ্যপাল একাই এগোতে চান’, উপাচার্যদের শো-কজ নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্রাত্য

শুক্রবার ব্রাত্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতি খানিক অভিযোগের সুরেই বলেন, “আমরা তো বার বার রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা চাইছি, সদর্থক বৈঠক চাইছি। কিন্তু উনি একক ভাবে সবটা করতে চাইছেন।”

Education Minister Bratya Basu on Governor CV Ananda Bose’s show cause notice to VC’s

রাজভবনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১৯:১৩
Share: Save:

রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের শো-কজ করা আইনি না বেআইনি, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতি খানিক অভিযোগের সুরেই বলেন, “আমরা তো বার বার রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা চাইছি, সদর্থক বৈঠক চাইছি। কিন্তু উনি একক ভাবে সবটা করতে চাইছেন।” রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ আইনি কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য। এর পাশাপাশি, এর উল্টোটা হলে, অর্থাৎ রাজভবনকে না জানিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলে কী হত, সেই প্রশ্নও উস্কে দেন শিক্ষামন্ত্রী। একটি প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজ্যপালকে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ করেন রাজ্যপাল বোস। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে তিনি সাপ্তাহিক কাজের একটি হিসাব চেয়েছিলেন। সেটি না পাওয়ায় কারণ দর্শাতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। মঙ্গলবার রাজভবনের চিঠি যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠানের আচার্য হিসাবে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সাপ্তাহিক কাজের একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আরও সহজ করা এবং ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থেই এই রিপোর্ট তলব। কিন্তু তেমন কোনও হিসাব রাজ্যপালকে পাঠাননি উপাচার্য। কেন আচার্যের নির্দেশ মানা হল না, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেই কারণ জানাতে বলেছে রাজভবন।

রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ মোট ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা রাজ্যপালের এই শো-কজ চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে তাঁদের রিপোর্ট না পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এই চিঠি পেতে পারে। রাজ্যপাল পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবে দায়িত্বপালন করেন। এপ্রিলেই আচার্যের তরফে একটি চিঠি গিয়েছিল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো ওই চিঠিতে ছিল একটি নির্দেশিকা। যাতে বলা হয়েছিল, উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়েও রাজ্যপাল বোসের আগাম অনুমোদন নিতে হবে। এমনকি, উপাচার্যদের সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে তাঁর ইমেল এবং ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE