Advertisement
E-Paper

‘অধ্যাপককে তুইতোকারি করা আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না’, যাদবপুরের ধর্না নিয়ে ব্রাত্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্নায় অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতি (ইসি)-র কয়েক জন সদস্য। এই ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে ব্যাখ্যা করলেন ব্রাত্য বসু।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৭:৪৪
image of Bratya Basu

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ কর্মসমিতির সদস্যদের ধর্না নিয়ে মন্তব্য করলেন ব্রাত্য বসু। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

১৫ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধর্নায় বসে রয়েছেন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-সহ কর্মসমিতি (ইসি)-র কয়েক জন সদস্য। এই ঘটনাকে ‘অনভিপ্রেত’ বলে ব্যাখ্যা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। জানালেন, অধ্যাপকদের ‘তুইতোকারি’ করে কথা বা গালিগালাজ আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে হয়েছে সেই কর্মশালা। তার পরেই ব্রাত্য সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘যাদবপুরে কী ঘটছে, ভাসা-ভাসা শুনেছি। কিছু বলব না। কারণ নতুন সার্চ কমিটি হবে।’’ এর পরেই ব্রাত্য অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য-সহ কর্মসমিতির সদস্যদের ধর্না প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যমে দেখলাম, ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু অধ্যাপককে তুইতোকারি করা বা চার বা পাঁচ অক্ষরে কথা বলা আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না। রাস্তা হতে পারে না।’’ এর পরেই ব্রাত্য মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও আন্দোলন করেছেন। তবে এ ভাবে নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরাও আন্দোলন করেছি। কোনও অধ্যাপককে তুইতোকারি করা বা চার অক্ষরে, পাঁচ অক্ষরে সম্বোধন করা ভদ্রজোনচিত কাজ হতে পারে না। এটা অনভিপ্রেত। এটা ঠিক, সব শিক্ষককে শ্রদ্ধা করা যায় না, আবার সব ছাত্রকে স্নেহ করা যায় না।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বরের কর্মসমিতির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সব বিষয়ে আলোচনা করে ওঠা সম্ভব হয়নি। সে দিনের বৈঠক শেষে ফের কবে কর্মসমিতির বৈঠক হবে, তা-ও জানাননি তিনি। বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়। উদ্দেশ্য ছাত্রমৃত্যু এবং ডেঙ্গু সংক্রান্ত বিষয় বাদে বাকি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা। অভিযোগ, বৈঠক শুরু হতেই স্লোগান দিতে থাকেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ক্রমাগত স্লোগানের মুখে পড়ে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য এবং ইসির কয়েক জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ সায়েন্স এবং আরও বেশ কিছু বিভাগের ডিন। বুদ্ধদেবের দাবি, কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীন টানা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁদের ছাত্র-নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তারই প্রতিবাদে বুধবার সারা রাত ধর্নায় বসেন তাঁরা। বুদ্ধদেবের আরও দাবি, ছাত্রদের হাতে তাঁদের অপমানের প্রতিবাদেই এই ‘সত্যাগ্রহ আন্দোলন’। বৃহস্পতিবার সকালে ধর্নাস্থলে বসেই প্রশাসনিক কাজকর্ম করেন উপাচার্য এবং কর্মসমিতির সদস্যেরা। এই ঘটনাকেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ‘অনভিপ্রেত’ বলে ব্যাখ্যা করেন।

Bratya Basu Governor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy