শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন করলে সরকারি কমিটিতে জায়গা পাওয়া যাবে। বিরোধী দলগুলি প্রায়শই এমন অভিযোগ করেন। রবিবার তৃণমূল সমর্থিত অধ্যাপক সংগঠনের এক সভায় গিয়ে সেই বিতর্ক আবারও উস্কে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিরোধীদের অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ব্রাত্য বলেন, ‘‘এর অংশত সত্যতা আছে। এটুকু বলতে পারি।’’ কিন্তু তাঁর এমন সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘কারণ এটি সরকারের সঙ্গে থাকা একটি সংগঠন। আমি এর সভাপতি, আমি সরাসরি রাজনৈতিক লোক। আমার এখানে সরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি যদি হয়, তা হলে আমি চাইব আমাদের সংগঠনের লোকই থাক। তৃণমূল করেন বলে তাঁরা অপাংক্তেয় হয়ে যাবেন। এ তো হতে পারে না।’’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালেও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল যেখানে ব্রাত্যকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘চাকরিটা তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে। কী ভাবে পাবে, কোথায় পাবে, কেন পাবে তা আমি বলব না।’’ যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেন আনন্দবাজার অনলাইন। তবে সেই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই বির্তকও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তবে রবিবার আবারও অধ্যাপক সংগঠনের সভায় গিয়ে এক প্রশ্নে জবাবে নিজের মতামত স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে সাফাই দিয়ে ব্রাত্য বলেছেন, ‘‘বাইরের সংগঠনের কথার থেকে বড়, আমরা তো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদেরই নিচ্ছি। আমরা কি শিক্ষাবিদ নিচ্ছি না? প্রচুর শিক্ষাবিদ আমি দেখাতে পারি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভাইস চ্যান্সেলার নির্বাচনের যে কমিটি তৈরি হল, যেখানে প্রচুর শিক্ষাবিদ এবং ভিসিও এসেছেন রাজ্যের বাইরে থেকে।’’
সভার শেষে নতুন করে অধ্যাপক সংগঠন সাজিয়ে তোলা প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘‘আমাদের এখন পাহাড় থেকে সমুদ্র পর্যন্ত সব জেলায় আমাদের কমিটি হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের সব বিশ্ববিদ্যালয়েও আমাদের ইউনিট হেড তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওয়েবকুপা সক্রিয় থাকবে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই অধ্যাপক এবং শিক্ষক শ্রেণি তৃণমূলের সমর্থনে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে রাজ্য জুড়ে একটা বাতাবরণ তৈরি করেছে। যাবতীয় অপপ্রচার সরিয়ে দিয়ে একটা বিশাল সংখ্যক অধ্যাপক এবং শিক্ষক শ্রেণিকে এখন থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রকাশ্যে সর্বত্র দেখতে পাওয়া যাবে।’’