অসীম ঘটক
তর্পণ শেষ। কোশাকুশি ধুতে একটু গভীর জলে নেমেছিলেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে দামোদরে তলিয়ে গেলেন অসীম ঘটক। একাত্তর বছরের অসীমবাবু রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের বড়দা। পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর থানার ভূতনাথ মন্দির ঘাটে।
আসানসোল আদালতের দুই আইনজীবী অসীমবাবু ও বীরেন মুখোপাধ্যায় এবং চিকিৎসক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার দুপুরে তর্পণ করতে যান। বীরেনবাবু ও অরিন্দমবাবু তর্পণ শেষ করে পাড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। অসীমবাবু জলের একটু গভীরে নামতেই ঘুর্ণিতে তলিয়ে যান। তা দেখে জলে ঝাঁপ দেন স্থানীয় যুবক অম্লান চৌধুরী ও বীরেনবাবু। বীরেনবাবুর কথায়, ‘‘আমিও তলিয়ে যাচ্ছিলাম। গাড়ির চালক টেনে তোলেন। কিন্তু অসীমকে তুলতে পারিনি!’’ অম্লানবাবু জানান, অসীমবাবু তাঁকে ঘুর্ণির কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু, নিজেই চলে যান।
স্থানীয়দের দাবি, ঘাটে মোতায়েন পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ঘটনার সময়ে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন। অম্লানবাবু বলেন, ‘‘আমিই দোকানে গিয়ে পুলিশে খবর দিই।’’ এলাকাবাসীর প্রশ্ন, বারবার এই ঘাটে দুর্ঘটনা ঘটলেও তর্পণের অনুমতি দেওয়া হলো কেন? পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনার দাবি, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। তারা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে। কলকাতা, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া থেকে আসা বিপর্যয় মোকাবিলার তিনটি দল তল্লাশি চলাচ্ছে। ভবিষ্যতে ওখানে যাতে কেউ তর্পণ না করতে পারেন, তা দেখব।’’ মলয়বাবু বলেন, ‘‘খবর পেলাম, দাদা চোরাস্রোতে তলিয়ে গিয়েছেন। খুবই চিন্তায় আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy