প্রতীকী ছবি।
জেলায় কত সরকারি দেওয়াল রয়েছে, কত দেওয়াল ব্যক্তি মালিকানাধীন তার সব তথ্য জানানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শৈবাল বর্মণ জলপাইগুড়িতে এসে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এর জন্য ২৪ দিন সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে। শুধু সংখ্যা নয়, প্রতিটি দেওয়ালকে পৃথক ভাবে চিহ্নিতও করতে হবে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন জেলার সব সরকারি দেওয়াল থেকে রাজনৈতিক দল এবং সরকারেরও লেখা প্রচার মুছে দেওয়া যেতে পারে, পোস্টার, ব্যানার খুলে নেওয়া সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
কমিশন সূত্রে খবর, সোমবারের বৈঠকে মূলত নির্বাচন আচরণবিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভোট ঘোষণার পর পরই যে যে ধরনের বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠতে থাকে তার মধ্যে সরকারি জায়গায় রাজনৈতিক দলের প্রচার করাই প্রধান। সে কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, লোকসভা ভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যেন সব সরকারি দেওয়ালে সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ও প্রচার মুছে দেওয়া হয়। মুছে দেওয়া হয়েছে কি না তা জানতে শুধু প্রশাসনের রিপোর্ট নয়, কমিশন নিজেরাও নজরদারি চালাবে বলে জানিয়েছে। সে কারণেই দেওয়াল চিহ্নিত করে কোন এলাকায় সেগুলি রয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুনীল আগরওয়াল বলেন, “লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা যা বিধিনিষেধ রয়েছে, তা যেন পুরোপুরি মেনে চলা যায় তার ব্যবস্থা হচ্ছে।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই জেলায় ‘নির্বাচন জরুরি’ ঘোষণা করা হবে। এই ঘোষণা করা থাকলে ভোটের প্রস্তুতির কাজকেই প্রশাসনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আগামী মাসের শুরু থেকেই ভোট পরিচালনার দায়িত্বে যে আধিকারিকেরা থাকবেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সবচেয়ে প্রথমে মডেল কোড অব কন্ডাক্ট তথা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সেল তৈরি হবে। তার প্রশিক্ষণও শুরু হবে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকে।
আপাতত ব্লকে ব্লকে দেওয়াল চিহ্নিত করার কাজ শুরু হচ্ছে। বিডিও অফিস থেকে কর্মীরা গিয়ে এলাকার সরকারি দেওয়ালগুলি চিহ্নিত করে জেলাকে রিপোর্ট পাঠাবে। সেই রিপোর্ট জেলা থেকে যাবে কমিশনে। সুবিধের জন্য সরকারি দেওয়াল চিহ্নিত করা হবে বলেও প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy