Advertisement
E-Paper

সিইও দফতর সরাতে রাজ্যের উপর নির্ভর করবে না, তারাই বহন করবে প্রয়োজনীয় খরচ, সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের’ প্রতিবাদে দিন কয়েক ধরেই উত্তপ্ত রাজ্যের সিইও দফতরের চত্বর। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিএলও-দের একাংশ। সেই আবহে এ বার নতুন দফতরের খরচের বিষয়ে জানাল কমিশন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৭
Election Commission will not rely on the state to relocate the West Bengal CEO office

রাজ্যের সিইও দফতর। — ফাইল চিত্র।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরকে উপযুক্ত এবং নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে রাজ্যের উপর নির্ভর করবে না নির্বাচন কমিশন! অর্থাৎ, সিইও দফতর স্থানান্তরিত করতে যা অর্থের প্রয়োজন, তা কমিশনই খরচ করবে।

‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের’ প্রতিবাদে দিন কয়েক ধরেই উত্তপ্ত রাজ্যের সিইও দফতরের চত্বর। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিএলও-দের একাংশ। সে ক্ষেত্রে সিইও দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কমিশন। এ নিয়ে পর পর দু’বার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে চিঠিও দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, সিইও দফতরকে উপযুক্ত এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বর্তমান এবং নতুন— দুই দফতরেই সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয় চিঠিতে।

সিইও দফতরের সামনে বিএলও-দের একাংশের বিক্ষোভের পরই দফতর সরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় কমিশন। পাশাপাশি, সিইও দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে সিইও দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের বাড়ি এবং যাতায়াতের পথেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলে কমিশন। চিঠি পাওয়ার পর কী পদক্ষেপ করা হল, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট (অ্যাকশন টেকশন রিপোর্ট) আকারে জমা দিতে বলা হয়।

সিইও দফতর স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে খরচ নিয়ে এ বার মুখ খুলল কমিশন। সূত্রের খবর, দফতর স্থানান্তরিত করতে যে খরচ হবে, তা বহন করবে কমিশনই। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করা হবে না বলেই জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সিইও দফতর সরানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সিকিম কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার বিল্ডিংয়ে হবে নতুন সিইও দফতর।

গত কয়েক দিন ধরেই সিইও দফতরের সামনে অবস্থান চালাচ্ছে ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’। তৃণমূলপন্থী এই সংগঠনের বিক্ষোভের সময়ে সেখানে বিএলও-দের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিইও দফতরে পৌঁছোনোর আগে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয় এলাকা। সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। শুভেন্দুদের দেখা মাত্রই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই আবহে এ বার নতুন দফতরের খরচের বিষয়ে জানাল কমিশন।

CEO Office West Bengal CEO Office
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy