কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব চাষকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। জৈব চাষের গুণাগুণ আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে কৃষি দফতর ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছে। এক কৃষিকর্তা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, চাষের ক্ষেত্রে কীটনাশক পরিহার করে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। সেই লক্ষেই কাজ শুরু হয়েছে।’’
জৈব চাষকে কৃষকের কাছে আকর্ষণীয় ও লাভজনক করতে কিছু পদক্ষেপ করেছে কৃষি দফতর। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৫০ একর জমি এবং ১০০ জন কৃষককে নিয়ে একটি করে ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। এ ভাবে তৈরি হয়েছে মোট ১২০টি ক্লাস্টার। সেখানে চাষিদের জৈব চাষের পদ্ধতি ও ফসলের গুণাগুণ সম্পর্কে কৃষি বিজ্ঞানীরা প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন।
এক কৃষিকর্তা জানান, দুধ, ঘি, মধু ও গোবর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে জৈব সার তৈরি হয়। সেই সারেই ফসল চাষ হচ্ছে। তবে জৈব চাষে খরচ কিছুটা বেশি। চাষিদের বলা হচ্ছে, জৈব চাষে প্রথম বছর কম ফলন হবে। ধীরে ধীরে ফলনের পরিমাণ ও মান দুই-ই বাড়বে। এতে দামও ভাল পাওয়া যাবে। জৈব চাষকে ছড়িয়ে দিতে বীজ ও সার দেওয়া থেকে সব রকম সাহায্য করবে সরকার। ওই কৃষিকর্তার কথায়, ‘‘কিন্তু এত কিছুর পরেও চাষিদের মাথায় গেঁথে গিয়েছে, কীটনাশক ছাড়া ফলন ভাল হবে না।’’
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারি খামারগুলিতে জৈব সারে আনাজ চাষ হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘কীটনাশকের ব্যবহারে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়েছে। তা ফেরাতে জৈব চাষে জোর দিচ্ছি। এখন ক্লাস্টার তৈরি করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘‘গোবিন্দভোগ, রাধাতিলকের মতো কিছু সুগন্ধি চালও জৈব চাষে হচ্ছে।’’ গোবিন্দভোগ বেশি হয় বর্ধমানে, রাধাতিলক নদিয়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy