নিজস্ব চিত্র।
নদীখাতে সভা নয়। এই দাবি তুলে এ বার পথে নেমে আন্দোলন শুরু করলেন বাঁকুড়ার পরিবেশপ্রেমীরা । আগামী ১ জুন বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকায় দলের কর্মিসভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গায়ের জোরে নদীখাতে সভা করা হচ্ছে দাবি তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। অন্যত্র সভা করার দাবি তুলেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানাও। যদিও তৃণমূলের জবাব, নদীগর্ভে সভা করা হচ্ছে না।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বার বাঁকুড়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩১ মে পুরুলিয়া থেকে তিনি বাঁকুড়ায় আসবেন। ওই দিন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করার পাশাপাশি ১ জুন বাঁকুড়ার সতীঘাটে দলীয় কর্মিসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক জমায়েত হবেন বলে মনে করছে তৃণমূল। সভার প্রস্তুতি ঘিরে বাঁকুড়ার সতীঘাটে এখন সাজ সাজ রব। আর তারই মাঝে সভাস্থলকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়কে অগ্রাহ্য করে গন্ধেশ্বরী নদীর বুকে এই সভা হচ্ছে। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ হারানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে নদী ও আশেপাশে এলাকার জীববৈচিত্র, এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। শনিবার ওই দু’টি সংগঠন যৌথ ভাবে বাঁকুড়ার মাচানতলা মোড়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সভা করুন, আমাদের সে বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সেই সভা নদীর বুকে হবে কেন? সেচ দফতরও আশ্বাস দিয়েছিল নদীর বুকে আর কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হবে না। তার পরেও কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সভার অনুমতি দেওয়া হল!’’ গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের সভা, সমাবেশ হলে নদীর বাস্তুতন্ত্রের ব্যপক ক্ষতি হয়।”
শনিবার সভাস্থল ঘুরে দেখেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা। তাঁর অভিযোগ, “আমরা চাই উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী বার বার বাঁকুড়ায় আসুন। কিন্তু এ ভাবে নদীর ক্ষতি করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা বাঁকুড়ার মানুষ মেনে নেবে না।” তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, “সভাস্থলটি নদীর পাশে। নদীখাতে আমরা সভা করছি না। বাস্তুতন্ত্রের কোনও ক্ষতি হবে না। নিজেদের সংগঠনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এখন কেউ কেউ আন্দোলন করছেন। তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy