Advertisement
E-Paper

গজলডোবায় কাজ কী ভাবে, প্রশ্ন পরিবেশবিদদের

জাতীয় পরিবেশ আদালতের স্থগিতাদেশ এখনও ওঠেনি। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন ব্যবসার এক অনুষ্ঠানে দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব কী ভাবে গজলডোবার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বললেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫৫

জাতীয় পরিবেশ আদালতের স্থগিতাদেশ এখনও ওঠেনি। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন ব্যবসার এক অনুষ্ঠানে দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব কী ভাবে গজলডোবার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বললেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদেরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, এখানে পর্যটন দফতর শুধু জোর কদমে কাজ চালাচ্ছে না, আগামী রবিবার বিদেশি প্রতিনিধিদের গজলডোবা দেখাতেও নিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের স্থগিতাদেশের তোয়াক্কা না করে কী ভাবে এ সব সম্ভব?

এই অভিযোগের ফাঁকেই বৃহস্পতিবার গৌতম দেব গজলডোবায় পর্যটন হাবের কটেজ তৈরির কাজ দেখতে যান। কাজের গতিপ্রকৃতি ক্ষুণ্ণ মন্ত্রী জানান, এই কটেজ মুখমন্ত্রীর পছন্দ হবে না।

পরিবেশবিদেরা বলছেন, পর্যটন দফতর যে বিপুল নির্মাণ কাজ করছে গজলডোবায়, তার জন্য আগে পরিবেশ আদালতের ছাড়পত্র দরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী ও জলচর পাখি আসে। বন দফতর সূত্রের খবর, এলাকাটি ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ হিসেবেও পরিচিত। পরিবেশগত ভাবে সংবেদনশীল এমন একটি এলাকায় রাজ্য সরকার পর্যটন প্রকল্প ঘোষণা করে কী করে, প্রশ্ন পরিবেশবিদদের। এই সব যুক্তি দেখিয়েই পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত পরিবেশ আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যা না পেয়ে কাজে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, পরিবেশ বাঁচিয়েই কাজ হচ্ছে। রাজ্যের অধীনস্থ পর্ষদের থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে পরিবেশগত সমীক্ষাও করানো হয়েছে।

Environmentalists Gajoldoba Tourist Spot Tourism গজলডোবা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy