সহকারী পাইলট পরিচয়ে প্রতারণার জাল ফেঁদেছিলেন যুবক। ওই পরিচয়েই মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতেন, তার পর তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক! একের পর এক অভিযোগ পেয়ে সেই ভুয়ো ‘কো-পাইলট’কে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অন্তর্গত মাটিগাড়া থানার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশ। ধৃতের নাম হেমন্ত শর্মা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সমাজমাধ্যমে এবং বিভিন্ন ডেটিং অ্যাপে নিজেকে কো-পাইলট বলে পরিচয় দিতেন হেমন্ত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে নিজেকে পাইলট বেশে তুলেও ধরতেন সমাজমাধ্যমে। সেই পরিচয়েই হেমন্ত অনেক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমন্ত সিকিমের প্যাকিংয়ের বাসিন্দা। এক সময়ে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড স্টাফ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক নার্স মাটিগাড়া থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, ওই তরুণীর থেকে চার গ্রাম সোনা নিয়ে পালিয়েছেন হেমন্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুধু ওই নার্সই নন, আরও অন্তত ৩০০ জন মহিলার সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
হেমন্তকে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত অভিযোগ স্বীকারও করেছেন জিজ্ঞাসাবাদে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করি। গোটা বিষয়টির তদন্ত করছে পুলিশ।’’