ভাই ছিলেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তাঁর খুনের পরে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় দলের দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিলেন দাদার কাঁধে। সেই দায়িত্ব নেওয়ার সপ্তাহখানেক পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে মঙ্গলবার প্রথমবার জনসংযোগ সারলেন আফজল শা। আর রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে পা দেওয়ার প্রথম দিনই আফজলের দ্বারস্থ হলেন ভাইয়ের খুনের ঘটনায় ধৃতের স্ত্রী এবং পরিজন। স্ত্রী দাবি করলেন, তাঁর স্বামী নির্দোষ। যদিও এ দিন ওই মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেননি আফজল।
দুর্গাপুজোর নবমীতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি কুরবান শা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে শেখ খালেক আহমেদ এক ব্যক্তি। এ দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আফজলের সঙ্গে দেখা করতে কুরবানের বাড়িতে আসেন ধৃত খালেক আহমেদের স্ত্রী, বৌমা-সহ পাঁচ মহিলা। তবে তাঁদের পরিচয় জানার পরেই আটকান প্রতিবেশীরা। কুরবানের বাড়ির পাহারায় থাকা পুলিশ কর্মীরাও আসেন।
ওই সময় অবশ্য আফজল বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন মাইশোরা বাজারে দলীয় কার্যালয়ে। পুলিশি পাহারায় ওই মহিলারা সেখানে আসেন। আফজলের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়ে খালেকের স্ত্রী শামসাদ বেগম বলেন, ‘‘আমার স্বামী অসুস্থ। খুনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। আফজল দয়া করে যদি ওঁকে মুক্তি দেন।’’