Advertisement
E-Paper

অবৈধ ভাবে মাঠ বিক্রি থেকে চাঁদা-বিতর্ক! পানিহাটির পুরপ্রধানকে ফোন করে ইস্তফা দিতে বললেন ববি

পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায়কে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে মাঠ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩৮
(বাঁ দিকে) মলয় রায় এবং ফিরহাদ হাকিম (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মলয় রায় এবং ফিরহাদ হাকিম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র

পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায়কে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ‍্য সচেতক তথা পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘর থেকে মলয়কে ফোন করেন ফিরহাদ। ফোনে মলয়কে দ্রুত পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন তিনি। মলয়ের বিরুদ্ধে পানিহাটি এলাকার অমরাবতী মাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রির অভিযোগ ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তা ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে চাঁদা নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।

পরবর্তী পুরপ্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পানিহাটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমনাথ দে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন মলয়। মঙ্গলবারই মলয়কে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। যদি মলয় পদত্যাগ না করেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।

পানিহাটির পুরপ্রধান জানান, ফিরহাদ তাঁকে ফোন করে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান, আপনি পদ ছাড়ুন। এই প্রসঙ্গে মলয়ের সংযোজন, “কেন হল বুঝতে পারছি না। আমি চক্রান্তের শিকার।”

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি পুর এলাকার অমরাবতী মাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মলয়ের বিরুদ্ধে। এই মর্মে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এই বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যসচিব। জেলা প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন মুখ্যসচিব। তার পরেই তাঁকে পুরপ্রধানের পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে রাজ্যের শাসকদল সূত্রে খবর।

অন্য দিকে, পানিহাটি পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে হওয়া অনুষ্ঠানের জন্য টাকা তুলতে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মোতাবেক, যাঁরা পুরসভায় কোনও পরিষেবা নিতে গিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে এক হাজার টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান মলয়ের সাফাই ছিল যে, “জোর করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছুক ব্যক্তিরাই চাঁদা দিচ্ছেন।”

chairman Resign FirhadHakim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy