খাবারের দোকানে অভিযান সরকারি আধিকারিকদের। নিজস্ব চিত্র
জগদ্ধাত্রী পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে দু’দিন পরেই। তার আগে বুধবার চন্দননগরের হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলিতে যৌথ ভাবে অভিযান চালাল খাদ্য সুরক্ষা দফতর এবং ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। হোটেলে মাছ, মাংস-সহ কাঁচা খাবার আগাম মজুত করা হচ্ছে কি না এবং খাদ্য সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এ দিনের অভিযান।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগর থেকে ভদ্রেশ্বর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলিতে মাছ, মাংস জমিয়ে রাখা হয়। ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয় রান্না করা খাবার। প্রতিবারই ওঠে এমন অভিযোগ। এ বার তাই আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন। আগামী শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী। তার আগে এ দিন ময়দানে নামল খাদ্য সুরক্ষা দফতর এবং ও চন্দনননগর কমিশনারেটের ইবি। ওই এলাকার হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলিতে মিলিত ভাবে অভিযান চালান দুই দফতরের আধিকারিকরা। এ দিন বেশ কিছু ক্ষেত্রে গাফিলতি নজরে আসে বলে দু’টি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। যেমন অনেক খাবারের দোকানেই কোভিড বিধি মেনে রান্না করতে দেখা যায়নি। ওই সব দোকানগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগরের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক জুঁই সাহা।
এক ইবি আধিকারিক জানান, খাবারের দোকানগুলিতে মাছ বা মাংসের মতো কাঁচা খাদ্যদ্রব্য আগে থেকে মজুত করা হচ্ছে কি না তাও এ দিন খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বেনিয়ম কিছু পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর। প্রতি বারই জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিপুল জন সমাগম হয় চন্দননগরে। এ বার অবশ্য করোনার কারণে পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। প্রতি বার রাস্তার ধারে অস্থায়ী খাবারোর দোকান তৈরি হত। কিন্তু এ বার তা হচ্ছে না। ফলে স্থায়ী খাবারের দোকানগুলিতে ভিড় হতে পারে, এ কথা ভেবেই সতর্ক প্রশাসন। আগামী দিনেও এমন অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ হাজারের বেশি দৈনিক সুস্থ, কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা
আরও পড়ুন: বেআইনি ভাবে তৈরি বিজেপির অফিস, অভিযোগ ইংরেজবাজার পুরসভার, পাল্টা তোপ বিজেপির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy