মনোজ কুমার। —নিজস্ব চিত্র।
শীর্ষ আদালত তাঁকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পুলিশের কাছে নয়, বুধবার সকালে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আত্মসমর্পণ করলেন প্রাক্তন ইডি-অফিসার মনোজ কুমার। তবে আদালত তাঁকে আগামী ১২ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানায় সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরে গ্রেফতারির আশঙ্কায় আগাম জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন মনোজ। লাভ না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু, শীর্ষ আদালত মনোজ কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। আদালতের এ দিনের নির্দেশ মেনে মনোজকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে শেক্সপিয়র সরণি থানা।
আরও পড়ুন
অমিতকে পাত পেড়ে খাওয়ানো রাজু-গীতা যোগ দিলেন তৃণমূলে
রোজ ভ্যালি কাণ্ডের তদন্তের সময় ওই মামলার মূল অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রার সঙ্গে ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মনোজ কুমারের মেলামেশার অভিযোগ উঠেছিল। এর পর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কমল সোমানি মনোজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান যে, তিনি প্রদীপ হীরাবট নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তোলাবাজি চালাচ্ছিলেন। টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন। সব মিলিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা তোলার প্রমাণ মিলেছে বলেও আদালতে জানানো হয়। মনোজের সঙ্গে প্রদীপ হীরাবটের ৬৫ বার ফোনে কথাবার্তার কল-রেকর্ড রয়েছে। হীরাবটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এক মাস পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেওয়া বয়ানে তিনি মনোজের হয়ে টাকা তোলার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে টাকা লেনদেনের প্রমাণ মেলে। তোলাবাজির টাকা বিদেশে পাচারের প্রমাণও মিলেছে।
মনোজের আইনজীবীরা অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই তদন্তে সাহায্য করছেন। পুলিশ তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করেছে। তা ছাড়া মনোজ কুমার এখন আর ইডি-র সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁকে তাঁর পুরনো শুল্ক দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজকে তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে তদন্তে অগ্রগতি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy