—ফাইল চিত্র।
সরকারে থাকার সময়ে সিপিএমের সঙ্গে বামফ্রন্টের বাকি শরিকদের সম্পর্কের টানাপড়েন ছিল। ক্ষমতাসীন সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ তোলা হত শরিকদের সম্মেলনে। রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর সাত বছর পরেও বামফ্রন্ট এবং বামপন্থী ঐক্য রক্ষায় সিপিএম আন্তরিক নয় বলে ক্ষুব্ধ ফরওয়ার্ড ব্লক। এক দিকে কংগ্রেসের হাত ধরার জন্য অতিরিক্ত তৎপরতা এবং অন্য দিকে শরিকদের পাশে নিয়ে না চলার জন্য আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ভূমিকার বিরুদ্ধে এমনই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে ফ ব-র রাজ্য সম্মেলনের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে।
পুরুলিয়ায় কাল, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ফ ব-র অষ্টাদশ রাজ্য সম্মেলন। দলীয় সূত্রের খবর, এ বারের সম্মেলনে রাজ্য নেতৃত্বের মুখ বদলের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে দল ছেড়ে চলে যাওয়া বা নেতৃত্বে না থাকতে চাওয়া কয়েক জনের বদলে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে নতুন কিছু মুখ আসার কথা। সম্পাদকমণ্ডলী অবশ্য গঠিত হবে সম্মেলনের পরে। বিদায়ী রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে তৈরি হওয়া প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে, রাজ্যে বিজেপির উত্থানের পিছনে বামেদের ব্যর্থতাও অনেকাংশে দায়ী। ছোট-বড় সব বাম শক্তিকে এক জোট করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং উদার অর্থনীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোই প্রধান কর্তব্য বলে ফ ব মনে করে।
আসন্ন লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই লড়তে চায় সিপিএম। কিন্তু ফ ব-র অবস্থান তার বিপরীত। আড়াই বছর আগের বিধানসভা নির্বাচন এবং কয়েক মাস আগের পঞ্চায়েত ভোটের উদাহরণ টেনে দলের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে যেতে গিয়ে বামেদের বিশেষ লাভ হয়নি। বরং, জেলায় জেলায় স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা শরিক দলের প্রার্থী থাকলেও সেখানে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন।
আরও পড়ুন: বৈশাখীর অপমানই বড় ‘যন্ত্রণা’ শোভনের
আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীর হাত দিয়ে পুরসভায় ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়
ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অ-কংগ্রেস জোট। আবার বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে নিয়ে জোট। এ ভাবেই কি চলবে বামপন্থীরা? তাদের নিজস্ব ভূমিকা থাকবে না?’’ রাজ্য সম্মেলনের পরেই ডিসেম্বরে কলকাতায় ফ ব-র পার্টি কংগ্রেস। সেখানেই লোকসভা ভোটের কৌশল চূড়ান্ত হবে। দলের স্বীকৃতি বাঁচাতে ৪-৫% ভোট পেতেই মরিয়া তারা।
দলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাসের উপস্থিতিতে পুরুলিয়ায় কাল সমাবেশ করে শুরু হবে রাজ্য সম্মেলন। প্রতিনিধি থাকবেন ৪১৫। তার আগে বুধবার দলের পদত্যাগী নেতা নরেন দে-র বাড়ি গিয়ে দেখা করে এসেছেন রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy