ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়েকে মেরে আত্মঘাতী হলেন এক ফল বিক্রেতা। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের মদনমোহন কলোনিতে। এ দিন টুলু মন্ডল নামে এক বৃদ্ধা দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন তাঁর ছেলে সুরজিতের ঘরের দরজা তখনও বন্ধ। প্রথমে তিনি ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়া-শব্দ পাননি। শেষে ধাক্কা মেরে দরজা খুলতেই চোখে পড়ে তাঁর ছেলে সুরজিৎ মন্ডল(৩৮) গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন। আর তাঁর পায়ের কাছেই উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন তাঁর ছেলের বৌ অসীমা মন্ডলের দেহ(২৭)। ওই বৃদ্ধা অন্য ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানার উপর পড়ে রয়েছে তাঁর নাতি ও নাতনি অতনু মন্ডল(৯) ও স্নেহা মন্ডলের (১২)নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে অন্যান্য ছেলে এবং পাড়ার লোকেদের ডেকে জড়ো করেন টুলুদেবী। পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ এসে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: যৌথ উদ্যোগে আর আবাসন নয় রাজ্যের
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চুচুঁড়া স্টেশনে সুরজিৎবাবুর একটি ফলের দোকান রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কারও কোনও বিবাদ ছিল না। কিন্তু তাঁর অনেক ধার-দেনা রয়েছে বলে সুরজিৎবাবু জানিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে মেরে সুরজিৎবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন। চন্দননগর থানার সি আই তপন চৌবে জানান, দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা জানার জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy