রোজ ভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে আবার নিয়ে যাওয়া হল ভুবনেশ্বরে।
এই মাসেরই ৯ তারিখ গৌতমকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ওড়িশার বালেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সে বার ওড়িশা সরকারের অনুরোধে কলকাতা পুলিশের একটি দল গৌতমকে বালেশ্বর পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে পরের দিনই ওড়িশা পুলিশ তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল ভুবনেশ্বরে। জানা গিয়েছিল, ওড়িশা পুলিশের হেফাজত থেকে গৌতমকে নিজেদের হেফাজতে নেবে সিবিআই। কিন্তু, তার আগেই ১৬ তারিখ আবার কলকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
জেল সূত্রের খবর, শনিবার, ২০ মে গৌতমকে ফের ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ বারেও ওড়িশা পুলিশের ইকনমিক অফেন্স উইং (ইওডব্লিউ)-এর মামলায় তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই দফায় তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে না বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের যুক্তি, জেরার দরকার হলে সরাসরি তারাই কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাবে। গৌতমকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়ে জেরার জন্য জানুয়ারি মাসেই আদালতে সিবিআই আর্জি জানিয়ে রেখেছে। সিবিআইয়ের দাবি, গৌতমকে নতুন করে জেরা করলে আরও কিছু প্রভাবশালীর নাম উঠে আসতে পারে। রোজ ভ্যালি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জামিন পাওয়ার পরের দিনই গৌতমকে আবার ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়ার পিছনে সিবিআইয়ের অভিসন্ধি আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গৌতমের ঘনিষ্ঠ মহল। গৌতমের বয়ানের উপরে ভিত্তি করেই সুদীপ ও অন্য আর এক তৃণমূল সাংসদ তাপস পালকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
গত ১৬ তারিখ ভুবনেশ্বর থেকে গৌতমকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরিয়ে দেওয়ার পরে সমস্যায় পড়ে যান জেল কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন ইডি কর্তা মনোজ কুমারও এখন ওই প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। কলকাতা পুলিশের একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন মনোজ। এই মনোজের হাতেই প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন গৌতম এবং তার পর থেকে আর জেলের বাইরে বেরোতে পারেননি। পরবর্তীকালে গৌতমের স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠেছিল মনোজের বিরুদ্ধে। সে কথা বিলক্ষণ জানা রয়েছে গৌতমের।
প্রেসিডেন্সি জেলে আসার পরে মনোজকে রাখা হয়েছে হাসপাতালের পাশে অরবিন্দ ওয়ার্ডে। তাঁরও শরীর খারাপ। তাই, প্রতিদিন তিনি হাসপাতালে এসে বিভিন্ন পরীক্ষা করাচ্ছেন। অন্য দিকে ভুবনেশ্বর থেকে ফেরার পরে গৌতমকে রাখা হয়েছে ওই হাসপাতালেই। ফলে, যে কোনও সময়ে দু’জনের মুখোমুখি হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলেন জেল অফিসারেরা। দু’জনের সামনা-সামনি দেখা হলে জেলের ভিতরে অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল। শনিবার গৌতমকে আবার ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়ার ফলে স্বস্তি জেল কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy