Advertisement
E-Paper

৭০ কোটি টাকা চেয়েও মেলেনি রাজ্যের কাছ থেকে, মেটানো যাচ্ছে না বিএলও-দের পাওনাও! দ্বিতীয় বার চিঠি দিল কমিশন

কমিশনের দাবি, তারা তাদের বরাদ্দ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের বরাদ্দ আটকে রেখেছে। রাজ্যের অর্থ দফতর সেই টাকা না-ছাড়ায় বিএলও-দের দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছে কমিশন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:১৭
BLOs are not being paid due to state government\\\\\\\'s non-payment, alleges Election Commission

এসআইআরে কাজ করছেন বিএলও-রা। — ফাইল চিত্র।

টাকা ছাড়ছে না রাজ্য সরকার! তাই বুথ লেভেল আধিকারিকদের (বিএলও) পারিশ্রমিক দেওয়া যাচ্ছে না। এমনই অভিযোগ তুলল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, বিএলও-দের সাম্মানিক এবং ভাতা বাবদ রাজ্যের থেকে ৭০ কোটি টাকা পায়। রাজ্য সরকার সেই টাকা আটকে রাখায় বিএলও-দের পারিশ্রমিক দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ করছেন বিএলও-রা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি, তার পরে সেই সব ফর্ম পূরণের পর সংগ্রহ করে কমিশনের কাছে পাঠানোর দায়িত্ব বিএলও-দের কাঁধে। সেই কাজের জন্য বিএলও-দের জন্য নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করেছে কমিশন।

কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও-রা প্রতি বছর ভোটার তালিকা পর্যালোচনা (রিভিশন)-র কাজে ছ’হাজার টাকা পেতেন। তবে সেই সাম্মানিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিএলও-দের একাংশের অভিযোগ, এসআইআরের সময়ে ভোটারদের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। এর জন্য তাঁদের মোবাইলের ডেটা খরচ হচ্ছে। অনেক বিএলও-র অভিযোগ, তাঁদের কাছে স্মার্ট ফোন ছিল না। এই কাজের জন্য তাঁদের স্মার্ট ফোন কিনতে হয়েছে। সেই সব কথা ভেবে কমিশনের তরফে আরও ছ’হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেবে বলে জানায়। প্রায় ৮১ হাজার বিএলও কাজ করছেন। অভিযোগ, এখনও বিএলও-রা তাঁদের পারিশ্রমিক হাতে পাননি, যা নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

কমিশনের দাবি, তারা তাদের বরাদ্দ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের বরাদ্দ আটকে রেখেছে। রাজ্যের অর্থ দফতর সেই টাকা না-ছাড়ায় বিএলও-দের দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছে কমিশন। বকেয়া টাকা চেয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের সিইও দফতর রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে কবে বিএলও-রা তাঁদের সাম্মানিক হাতে পাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য যদি ধাপে ধাপে টাকা ছাড়ে তবে বিএলও-দের সেই ভাবে পারিশ্রমিকও দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে চলতি সপ্তাহেই চিঠি দিয়েছে কমিশন। আগেও টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছিল তারা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছেন, বাংলার যা বকেয়া রয়েছে সেটা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকারকে একটা চিঠি কমিশন লিখুক, টাকা সঙ্গে সঙ্গে বিএলও-দের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে।’’

SIR BLO Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy