এসআইআর অর্থাৎ, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে সোমবার। তার পরেই এর সূচির প্রচারে জোর দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বাংলায় সেই প্রচারে কমিশনের মুখ—গুপি গাইন ও বাঘা বাইন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের এক নির্বাচনী আধিকারিকের মতে, ‘‘এসআইআর প্রক্রিয়ায় কবে, কী হবে তা নিয়ে মানুষের জিজ্ঞাস্য রয়েছে। সেটা সহজ-সরল ভাবে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। আর সেই প্রচারে জনপ্রিয় চরিত্র জুড়ে থাকলে তা অন্য মাত্রা পায়।’’
এসআইআর সূচির প্রচারে এমনই পোস্টার বানিয়েছে সিইও-দফতর। ছবি: দফতরের ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর থেকে গুপি-বাঘার ‘অ্যানিমেটেড’ ছবি দেওয়া পোস্টার বানানো হয়েছে। সমাজমাধ্যমে দফতরের তরফে সেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, জেলাগুলিতেও এই পোস্টার পাঠানো হবে। পোস্টারে থাকছে এসআইআরের গুরুত্বপূর্ণ দিনক্ষণ। যেমন, বাড়ি-বাড়ি গণনাপর্ব চলবে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৯ ডিসেম্বর, দাবি ও আপত্তির সময় ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি, নোটিস পর্যায় (শুনানি ও যাচাইকরণ) ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সৃষ্টি গুপি-বাঘাকে বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯ সালে। সূত্রের খবর, এই দুই চরিত্রের জনপ্রিয়তা মাথায় রেখেই তাদের এসআইআর-প্রচারে আনা হয়েছে। তা ছাড়া, গান ও ঢোলের বাদ্যের এই যুগলবন্দির মধ্যে প্রাচীন কালে ঢেঁড়া পিটিয়ে প্রচারের আঙ্গিকও রয়েছে।
ভোটদানে সচেতনতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় চরিত্রকে সামনে আনা হয়। জেলায়-জেলায় ‘সিস্টেমেটিক ভোটার্স এডুকেশন ফর ইলেক্টোরাল পার্টিসিপেশন’ (এসভিইইপি) সেল রয়েছে। তার মাধ্যমে প্রচারের কাজ চলে। সচেতনতামূলক প্রচারে জেলাভিত্তিক ‘ম্যাসকট’ বানানো হয়। সেখানে থাকে সংশ্লিষ্ট জেলার নিজস্ব পরিচিতির ছোঁয়া। যেমন, গত লোকসভা ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘ম্যাসকট’ ‘চিত্রা’-র সঙ্গে জুড়ে ছিল পিংলার পট।
মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি সিদ্ধার্থ সাঁতরার মতে, ‘‘যে পোস্টারে গুপি-বাঘার ছবি থাকবে, তা বাঙালির চোখ টানবেই।’’ মেদিনীপুরের স্কুলশিক্ষক সৌম্যসুন্দর মহাপাত্রও বলছেন, ‘‘গানের গুপি, ঢোলের বাঘা। পোস্টারে এমন ছবি রাখার ভাবনা প্রশংসনীয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)