পর্যটন উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে মন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার ফলতায়। ছবি: শৌভিক দে।
গরুর গাড়ি, পাল্কির দিন শেষ। তাদের হঠিয়ে গ্রামের রাস্তার দখল নিয়েছে অটো-টোটো। মুরগির লড়াই, কুস্তির আখড়াও তেমন চোখে পড়ে না। কবিগান, বাউল, কীর্তনের জায়গায় গ্রামীণ সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে ডিজে। কিন্তু গ্রামজীবনের সেই পুরনো স্বাদ তো ভোলার নয়!
সেই সব হারিয়ে যাওয়া সময়কে ফিরিয়ে এনেই রাজ্যের পর্যটন-মানচিত্রে পাকা জায়গা করে নিতে চাইছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতা। পুরোটাই হচ্ছে বেসরকারি প্রচেষ্টায়। তবে তাদের অভিনব উদ্যোগটিতে সরকারের তরফে যাবতীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ফলতার এক ইটভাটার জমিতে শুরু হয়েছে এই মহাযজ্ঞ। বুধবার যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করলেন পর্যটনমন্ত্রী।
কী থাকছে এখানে?
পর্যটকদের জন্য পাল্কি, গোরুর গাড়ির ব্যবস্থা থাকছে। তৈরি হয়েছে বাউলগানের আখড়া। কাশ্মীরের ডাল লেকে ভেসে চলা শিকারার ধাঁচে গঙ্গায় নৌকাবিহারের আয়োজনও মজুত। গঙ্গার বুকে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য মিলবে স্টিমার। বেসরকারি পর্যটন সংস্থাটির কর্ণধার অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য পর্যটন দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ছাড়পত্র মিললেই তা কার্যকর
করা হবে।’’
পর্যটন সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, শীতের মরসুমে ফলতার গঙ্গাবক্ষে ‘গঙ্গা উৎসব’ হবে। ভ্রমণপিপাসুদের সামনে তুলে ধরা হবে ফলতার ইতিহাস। পাশাপাশি মিলবে দৃশ্যসুখ। গোলাপ বাগিচায় ফোটানো হবে হরেক প্রজাতির গোলাপ। বিভিন্ন প্রজাতির ক্যাকটাস-সহ রকমারি গাছও। সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে দেখা যাবে বিভিন্ন ধরনের পাখি ও রংবেরঙের প্রজাপতির ওড়াউড়ি।
পর্যটনমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্যে পর্যটনের উন্নয়ন করতে হলে আগ্রহী বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা তাদের সব সাহায্য করব।’’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। পর্যটন সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা অতনু চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘শহরের একঘেয়েমি থেকে কয়েক দিনের জন্য মুক্তি পেতে হলে এখানে আসতে হবে। ফিরে পাওয়া যাবে গ্রামীণ জীবনের হারিয়ে যাওয়া স্বাদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy