Advertisement
E-Paper

এজি-র ব্যাখ্যা শুনে মেয়র বিলে সই

বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। এজি পুর আইন, বিধি এবং সংবি‌ধানের বিভিন্ন ধারা ব্যাখ্যা করেন। এর পরেই রাজ্যপাল বিলে সই করেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৪০
কিশোর দত্ত এবং কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

কিশোর দত্ত এবং কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।

কলকাতা পুরসভার মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত পুর আইনের সংশোধনী বিলে মঙ্গলবার রাতে সই করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এ দিনই রাজভবন থেকে রাজ্যপালের অনুমোদিত বিলের কপি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিলটি সই করার আগে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন রাজ্যপাল। বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। এজি পুর আইন, বিধি এবং সংবি‌ধানের বিভিন্ন ধারা ব্যাখ্যা করেন। এর পরেই রাজ্যপাল বিলে সই করেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর।

মেয়র পদে শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেন গত ২২ নভেম্বর। সে দিনই বিধানসভায় কলকাতা পুর আইন ১৯৮০-র সংশোধনী আনা হয়। তাতে বলা হয়, পুর কাউন্সিলর না হলেও কোনও ব্যক্তি মেয়র হতে পারেন। তবে তাঁকে ছ’মাসের মধ্যে কাউন্সিলর হিসেবে জিতে আসতে হবে। এই বিলটিই গত পাঁচ দিন ধরে রাজভবনের অনুমোদনের প্রতীক্ষায় ছিল।

২২ নভেম্বরই মেয়র নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে বি়জ্ঞপ্তি জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। তাতে ২৪ থেকে ২৯ নভেম্বরে মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর পুর অধিবেশনে মেয়র নির্বাচন হওয়ার কথা। তৃণমূল ফিরহাদ (ববি) হাকিমকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সংশোধিত বিলে রাজ্যপালের সই না-হওয়ায় বৃহস্পতিবারের মধ্যে তিনি মনোনয়ন পেশ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই অনিশ্চয়তা কেটেছে।

রাজ্যপাল কী কী বিষয়ে এজি-র মতামত চেয়েছিলেন? আইন দফতরের খবর, সংবিধানের ২৪৩ আর (১) ধারায় বলা আছে কেবল পুর এলাকা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়েই পুরবোর্ড গঠিত হবে। যার অর্থ, নির্বাচিত নন এমন কেউ বোর্ডে আসতে পারবেন না। যদিও সংবিধানের ২৪৩ আর (২) ধারায় রাজ্য সরকারকে নিজেদের আইন তৈরির ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। তাতে কী উপায়ে কোনও পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচন হবে তা রাজ্য নিজের আইনে ঠিক করতে পারবে বলে বলা রয়েছে। যদিও আইন দফতরের কেউ কেউ বলছেন, সংবিধানে চেয়ারপার্সন নির্বাচনের প্রক্রিয়া ঠিক করার ক্ষমতা রাজ্যকে দেওয়া রয়েছে, তাঁর যোগ্যতা নির্ণয় করার ক্ষমতা নয়। এজি-র অবশ্য ব্যাখ্যা, রাজ্য তার অধিকারের মধ্যে থেকেই সংশোধনী এনেছে।

এ দিন সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠান শেষে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘একটা বিতর্ক উঠেছে। যা করার এজি-র সঙ্গে কথা বলে করব।’’ সেই অনুষ্ঠান থেকে ফিরেই রাজভবনে এজি-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যপাল। তার পর সই করেন সংশোধিত বিলে।

Keshari Nath Tripathi Governor Mayor bill কেশরীনাথ ত্রিপাঠী রাজ্যপাল মেয়র
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy