পুরভোটের ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ফের গুলি-বোমার সন্ত্রাস বেলুড়ে।
রবিবার রাতে বেলুড় ও লিলুয়ায় চার জায়গায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। রাত ন’টা থেকে এই ঘটনা শুরু হওয়ার পরেই শাসক দল অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি এবং সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও ওই দুই দলই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ তৃণমূলের এলাকা দখলের অঙ্গ এই বোমাবাজি ও সন্ত্রাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেলুড়ের ৬০, ৬১ এবং ৬২ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে চলে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। মোটরবাইকে চেপে দাপিয়ে বেড়ায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, বেলুড়ের মাতোয়ালা চৌরাস্তায় ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কৈলাশ মিশ্রের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে পর পর ২টি বোমা মারে দুষ্কৃতীরা। তাতে আহত হয় মণীশ গুপ্ত এবং অনিল সাউ নামে দুই যুবক। আহতদের ভর্তি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। মন্ত্রী তথা তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘‘সিপিএম এবং বিজেপি নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই পরিকল্পিত ভাবে দুষ্কৃতীদের দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বালি ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কিষাণ কিল্লা বলেন, ‘‘ভোটের দিন তৃণমূলের সন্ত্রাস মানুষ দেখেছে। আমরা প্রতিবাদ করে রাজ্যপাল এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আসলে এটা ওই তিনটি ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীদের নিজেদের এলাকা দখলের লড়াই।’’ বেলুড়ের এক সিপিএম নেতা বলেন, ‘‘যে তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের এজেন্টরা বুথ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের আমরা গুলি বোমা নিয়ে আক্রমণ করবো! এটা কী সম্ভব? মানুষ জানে সত্যটা কী।’’
পুলিশ জানায়, বোমাবাজির আগে ওই দুষ্কৃতী দল বেলুড়ের তারাচাঁদ গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি কারখানার সামনে গিয়ে ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রাজীব থামানের নামে গালিগালাজ করে ও হুমকি দেয়। কারখানাটি রাজীবেরই। এর পর দুষ্কৃতীরা ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গি সিং গলিতে তাণ্ডব চালিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy