Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, প্রকাশ্যে গুলি, আহত ২,কাঁচড়াপাড়ায় উত্তেজনা

শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ফের বোমা-গুলি চলল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। খড়দহের পর এ বার কাঁচড়াপাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন তৃণমূল কর্মী। তাঁদের নাম হারাধন মুখোপাধ্যায় এবং হারাধন পাল। আহত অবস্থায় তাঁদের কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এমনকী, পথ অবরোধও করেন স্থানীয়রা। তবে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি বীজপুরের বিধায়ক তথা মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৫ ০৩:৩৬
হাসপাতালে যাওয়ার পথে আহত তৃণমূলকর্মী।—নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে যাওয়ার পথে আহত তৃণমূলকর্মী।—নিজস্ব চিত্র।

শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ফের বোমা-গুলি চলল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। খড়দহের পর এ বার কাঁচড়াপাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন তৃণমূল কর্মী। তাঁদের নাম হারাধন মুখোপাধ্যায় এবং হারাধন পাল। আহত অবস্থায় তাঁদের কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এমনকী, পথ অবরোধও করেন স্থানীয়রা। তবে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি বীজপুরের বিধায়ক তথা মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়।

বাগমোড়ে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রবীর সরকার নামে এলাকার এক তৃণমূল নেতা ওই কার্যালয়ে বসেন। এ দিন রাত ন’টা নাগাদ সেখানে একটি মারুতি গাড়ি করে কিছু লোক আসে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে তখন বসেছিলেন হারাধন পাল ও হারাধন মুখোপাধ্যায় নামে ওই দু’জন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমা ছুড়ে পালায়। গুরুতর আহত দু’জনকে প্রথমে কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, প্রবীরবাবু ওই সময়ে সেখানে ছিলেন না। সংঘর্ষের খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘোষপাড়া রোডে অবরোধ শুরু হয়।

স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকায় গঙ্গা থেকে বালি তোলা একটা ব্যবসা। মূলত শাসকদলের লোকরাই অবৈধ ওই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রোমাটারির মতোই বড় ব্যবসা এটি। এমনকী, সিন্ডিকেটও আছে। প্রবীরবাবুর এই বালি তোলার ব্যবসা রয়েছে বলে স্থানীয়েরা জানান। তাঁদের অভিযোগ, এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই শাসকদলে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ ছিল। যার এক দিকে রয়েছেন প্রবীরবাবু এবং তাঁর অনুগামীরা। ব্যবসায়িক কারণেই হয়তো তাঁর উপর হামলা চালাতে চেয়েছিল বিরোধী গোষ্ঠী। কিন্তু, তিনি দলীয় কার্যালয়ে না থাকায় সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি বলে বাসিন্দাদের দাবি।

বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। পুলিশকে বলেছি ঘটনার তদন্ত শুরু করতে। দলীয় ভাবেও ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

group clash Trinamool Mukul roy barrackpore kancharapara
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy