Advertisement
E-Paper

রেস্তরাঁয় চাকরি করার ইচ্ছে ছিল গুড্ডুর, দাবি

বিহারের পূর্ব চম্পারণের বাসিন্দা গুড্ডুর বয়স বছর আটাশ। অঙ্কে স্নাতক হতে সেখানকার কলেজে ভর্তি হয়েছিল। তবে আর্থিক কারণে সে পড়া শেষ করতে পারেনি।

শিবাজী দে সরকার, শুভঙ্কর পাল

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫৭
তদন্ত: ধৃতকে নিয়ে এসটিএফের তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

তদন্ত: ধৃতকে নিয়ে এসটিএফের তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

শিলিগুড়ির বাড়িওয়ালাকে বলেছিল, আনাজ-ফলের ব্যবসা করবে বলে শিলিগুড়ি শহরটা চিনতে চায়। কিন্তু বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আইএসআই চর অভিযোগে ধরা পড়া গুড্ডু কুমারের প্রকৃত ইচ্ছে ছিল, শালুগাড়ার কাছে এক রেস্তরাঁয় চাকরি করা— ধৃতকে জেরার পরে এমনই দাবি রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর গোয়েন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, ওই রেস্তরাঁর খুব কাছেই সেনা ছাউনি রয়েছে। এসটিএফের এক কর্তা শুক্রবার দাবি করেন, ‘‘আমাদের ধারণা, সেনার উপরে নজর রাখার জন্য গুড্ডু ওই রেস্তরাঁতে কাজ করতে চেয়েছিল। বিন্নাগুড়ি ও হাসিমারাতেও তাকে আইএসআই যেতে বলেছিল। কিন্তু সে সব জায়গায় সে যেতে পারেনি।’’

বিহারের পূর্ব চম্পারণের বাসিন্দা গুড্ডুর বয়স বছর আটাশ। অঙ্কে স্নাতক হতে সেখানকার কলেজে ভর্তি হয়েছিল। তবে আর্থিক কারণে সে পড়া শেষ করতে পারেনি। নয়ডায় কাজে গিয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিকে সে কাজ হারিয়ে বিহারে ফেরে। তদন্তকারীদের দাবি, পর্ন সাইটে ‘আসক্তির’ সুবাদে কয়েকটি পর্ন ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’-এ জড়ায় গুড্ডু। সেখানে মহিলা হিসাবে পরিচয় দেওয়া এক জনের সঙ্গে তার ‘ঘনিষ্ঠতা’ হয়। সে ‘মহিলাই’ গুড্ডুর সঙ্গে আইএসআই-এর ‘হ্যান্ডলার’ ভিন‌্-রাজ্যের এক বাসিন্দার পরিচয় করিয়ে দেয়।

গোয়েন্দাদের দাবি, জেরায় তাঁরা গুড্ডুর কাছে জেনেছেন, ওই ‘হ্যান্ডলার’ তাকে সেনা বাহিনীর তথ্য জোগাড়ের কাজ দেয়। রাজি না হলে, মহিলার সঙ্গে তার ‘ঘনিষ্ঠ’ আলাপচারিতা ফাঁস করে দেওয়ার ‘হুমকি’ দেওয়া হয়। তাই গুড্ডু সে কাজ নিয়ে শিলিগুড়িতে চলে আসে। তার কাজ ছিল শিলিগুড়ি লাগোয়া বিভিন্ন এলাকার সেনা ছাউনির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে, তা পাঠানো।

গুড্ডুর স্ত্রী শোভা কুমারী শুক্রবার ফোনে দাবি করেন, ‘‘স্বামী এমন কাজ করতেন, আমি জানতাম না।’’ শোভার দাবি, একাধিক বার তিনি শিলিগুড়িতে স্বামীর কাছে আসতে চেয়েছেন। তবে গুড্ডু নিষেধ করায় আসা হয়ে ওঠেনি শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেবাশিস কলোনির ভাড়াবাড়িতে।

গুড্ডুর মোবাইল থেকে অনেক তথ্য উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। তবে তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেশ কিছু নম্বর পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি এ বারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতের মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া দু’টি সিম-কার্ডও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Siliguri STF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy