হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ পুথি গাইতংপা শেষ পর্যন্ত কলকাতা জাদুঘরে ঠাঁই পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু মহামূল্যবান সেই পুথিটিকে সিবিআই ছ’বছর ধরে কালিম্পং আদালতের মালখানায় ফেলে রেখে দিয়েছিল কেন, সেই প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট।
ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার হাইকোর্টে জানান, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই পুথি ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছে। এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। সিবিআইয়ের আইনজীবী মহম্মদ আসরাফ আলির উদ্দেশে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘জাতীয় সম্পদের গুরুত্ব বোঝেন না!?’’ হাইকোর্ট এ দিন জাদুঘর-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, ওই পুথি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে, কী ভাবে তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, ১১ মে সেই বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে।
রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদক চুরির তদন্তে নেমে কালিম্পংয়ে গাইতংপা পুথির হদিস পায় সিবিআই। সেটি কালিম্পং আদালতের মালখানার সিন্দুকে পড়ে নষ্ট হচ্ছে জেনে মামলা করে হাইকোর্টই। গত ২৮ এপ্রিল সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মাত্রের নির্দেশে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে জাদুঘর-কর্তৃপক্ষের হাতে ওই সিন্দুকের চাবি তুলে দেয় সিবিআই।
জাদুঘর-কর্তৃপক্ষ এ দিন বিচারপতি মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, সিন্দুক খুলে পুথি ও মূর্তি তাঁরা পেয়েছেন। সেগুলি নিজেদের হেফাজতেও নিয়েছেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুথি ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছে। শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি মাত্রে।