সামনে বসে ১৮৪ জন আইএএস। হাতে নোটবুক, পেন। অপেক্ষা ‘ম্যাডাম’ কী বলবেন তা শোনার জন্য।
ম্যাডাম বসে উল্টো দিকের চেয়ারে। গলাটা কি শুকিয়ে যাচ্ছে? ঈষৎ কাঁপছে বাঁ পা-টা? সামনে যাঁরা বসে আছেন তাঁরা যে সব হবু আমলা! তাঁর মনে পড়ে, সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে মুসৌরির এই যাত্রাপথটাও তো সহজ ছিল না। তা হলে? ম্যাজিকের মতো মিলিয়ে যায় ভয়। টানটান উঠে দাঁড়ান মুর্শিদা খাতুন।
নাবালিকার বিয়ে থেকে, মাদ্রাসার লেখাপড়া, গ্রামীণ রাজনীতি থেকে সালিশির প্রভাব— হিন্দি ও ইংরেজিতে বলে চলেন তিনি। বরাদ্দ ৪৫ মিনিট কখন যে এক ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে টেরই পাননি কেউ। মুর্শিদা থামলেন। অডিটোরিয়ামে হাততালি। মুর্শিদাবাদের দেবকুণ্ডু শেখ আব্দুর রাজ্জাক মেমোরিয়াল গার্লস হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা বলছেন, ‘‘এই অভিজ্ঞতা ভুলব না।’’