ওই ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় মোট তিন জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহভাজনের নাম মেলে। —প্রতীকী চিত্র।
ব্যারাকপুরে ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। পুলিশকে নিয়ে ওই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিংহের লাগাতার কটাক্ষের মধ্যেই ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক জনকে ধরা হয়েছে রহড়া থেকে, অন্য জনকে বীরভূমের মুরারই থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের ধরতে তাদের কাছে সূত্র ছিল একটি ব্যাগ। যেটি এক অভিযুক্তের বলে অনুমান তাদের।
পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতি এবং গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তে নেমে একটি ব্যাগ পান তদন্তকারীরা। সেটি ওই দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া বলে সন্দেহ করা হয়। ব্যাগ খোলার পর মেলে মোটরবাইকের লাইসেন্স। বস্তুত, বুধবার সন্ধ্যায় আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে যে দুষ্কৃতীরা ঢোকেন তাঁদের মাথায় ছিল বাইকের হেলমেট।
ওই ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় মোট তিন জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহভাজনের নাম মেলে। তদন্তে উঠে আসে, লাইসেন্সটি যে বাইকের তা চার বার হাতবদল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাইকটি ছিল সফিকের জিম্মায়। শুরু হয় তাঁর খোঁজ। জানা যায়, সফিক থাকেন কামারহাটি এলাকায়। তবে তাঁর মোবাইল নম্বরে যত বারই ফোন করা হয়েছে তত বারই বন্ধ পেয়েছে পুলিশ। সন্দেহ গাঢ় হয়। এর পরে শুরু ওই মোবাইলটির টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা। এর পর শুক্রবার গভীর রাতে রহড়ার একটি আবাসন থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এই ঘটনায় জড়িত দু’জনের খোঁজ মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy