Advertisement
E-Paper

‘চারটে গাড়ি’, মিথ্যে বলে রনি

কথায় কথায় মিথ্যে বলছে সন্তান? রাগারাগি না করে সমস্যাটা বুঝুন। রইল পরামর্শ।স্কুল থেকে ফিরে বছর সাতেকের রনি কখনও বলে দিদিমণিরা মেরেছে। কখনও বলে, ড্রাইভার কাকু মাথা ঠুকে দিয়েছে। আবার স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের কাছেও বানিয়ে বানিয়ে বলে, ‘জানিস তো আমাদের চারটে গাড়ি আছে।’ বাবা-মা সব বুঝেও কী করবেন ভেবে পান না।

দেবাঞ্জনা ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৫ ০০:০০

স্কুল থেকে ফিরে বছর সাতেকের রনি কখনও বলে দিদিমণিরা মেরেছে। কখনও বলে, ড্রাইভার কাকু মাথা ঠুকে দিয়েছে। আবার স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের কাছেও বানিয়ে বানিয়ে বলে, ‘জানিস তো আমাদের চারটে গাড়ি আছে।’ বাবা-মা সব বুঝেও কী করবেন ভেবে পান না।

শিশু মনস্তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ হিরণ্ময় সাহা বলছেন, এমন কোনও মানুষ নেই, যিনি শৈশবে মিথ্যে বলেননি। বিষয়টা সাধারণত গুরুতর নয়, কিন্তু এই প্রবণতা গোড়াতেই সামলানো চাই। না হলে পরে বিপদ হতে পারে। কী ভাবে তা সম্ভব, রইল কিছু পরামর্শ।

তকমা দেবেন না। সন্তান মিথ্যে বললেও ওকে মিথ্যেবাদী বলবেন না। অন্যের সামনে তো নয়ই। নিজেকে খারাপ ভাবতে শুরু করলে তা থেকে অপরাধের প্রবণতা জন্মাতে পারে।

দূরত্ব ঘোচান। আপনার ব্যস্ততা যেন সন্তানের থেকে আপনাকে দূরে না রাখে। বাবা-মা সম্পর্কে শিশুমনে বিরূপ ধারণা জন্মালে পরিবার সম্পর্কে মিথ্যে বলে অনেক শিশু।

অতি-প্রত্যাশা এড়ান। নিজের আশা-আকাঙ্খা বাচ্চার ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন না। আপনার কাছে প্রিয় হতে সন্তান মিথ্যা বলবে।

অপূর্ণ ইচ্ছে। নতুন পেনসিল বক্স থেকে বিদেশি গাড়ি, অনেক কিছু দেখেই শিশুর সেটা পেতে ইচ্ছে হয়। বানিয়ে বানিয়ে বলে, ‘আমারও আছে’। বোঝান, সবই পাওয়া যায় না, তবে অর্জন করা যায়।

সমস্যা আপনি? বানিয়ে বলার শুরুটা অনেক সময়ে পরিবারেই হয়। আপনার মিথ্যাচার শিশুমনে বিরূপ প্রভাব ফেলে।

কল্পনাও হতে পারে। অনেক শিশু কল্পনাপ্রবণ হয়। বানিয়ে গল্প বলতে ভালবাসে। ওর এই সৃষ্টিশীল মনটা নষ্ট করে দেবেন না।

গোপন মানেই মন্দ না। ছোটদেরও একটা জগৎ আছে। সেখানে জোর করে ঢুকতে না যাওয়াই ভাল। জোর করলে মিথ্যে বলার সম্ভাবনা বাড়বে।

সন্তানের বন্ধু হোন। দূরত্ব মুছে দিলে হয়তো মনের কথাটা খোলাখুলি আপনাকে বলতে ওর বাধবে না।

চশমা এক হাতে খুলবেন না।
এতে চশমার মাপ নষ্ট হয়ে ঢিলে হতে পারে। দু’হাতে খুলুন।

মাথায় চড়াবেন না

সিনেমায় তারকারা মাথার উপরে চশমা চড়ান।
আপনি দেবেন না। এতে ঢিলে হয়ে যায়, ভেঙে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে

পরিষ্কারে পরিপাটি

যে কোনও কাপড়, কাগজ দিয়ে চশমা মুছবেন না। কাচে দাগ হবে।
মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি চশমা মোছার কাপড় ব্যবহার করুন।

নিয়মিত যত্ন

বছরে এক বার বা দু’বার চশমার দোকানে গিয়ে তার মাপ ঠিক করিয়ে নিন।

বাক্সবন্দি

যেখানে-সেখানে চশমা খুলে রাখবেন না।
যখন পরছেন না তখন তা চশমার খাপেই রাখুন।

train your child child problem child psychology ghorebaire debanjana bhattacharya child psychologist hiranmoy saha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy