শিকলে বাঁধা অবস্থায় ষোলো বছরের কিশোর। —নিজস্ব চিত্র।
‘ভূতে ধরেছে’— শুধু এই সন্দেহের বশে ষোলো বছরের কিশোরকে শিকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল হুগলির চুঁচুড়ায়। কেওটার হেমন্ত বসু কলোনির এই ঘটনার খবর পেয়েই শুক্রবার কিশোরের বাড়িতে গেল পুলিশ ও বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধি দল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই কিশোর দশম শ্রেণির পড়ুয়া। আট দিন আগে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরেই ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করতে শুরু করে সে। বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি, হাত-পা ছুড়তে থাকে। বাড়ির লোকেদের মারধরও করে। এই সব দেখেই পরিবারের লোকেদের ধারণা হয়, ছেলেটিকে ‘ভূতে ধরেছে’! এর পরেই ছেলেটিকে শিকলে বেঁধে রাখা হয়। কিশোরের বাবা কার্তিক মালাকার জানান, পড়শিদের পরামর্শ শুনে পূর্ব বর্ধমানের বড়শূলে এক ওঝার কাছেও গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই ওঝার কথা মতোই মাদুলি করানো হয়। দেওয়া হয় জলপড়াও। কোনও কাজ হয়নি। পরিবারের দাবি, এর পর ওঝার কথা শুনেই চিকিৎসককে দেখানো হয়। আপাতত সুস্থই আছে ওই কিশোর।
কিশোরের দিদি টিনা মালাকার বলেন, ‘‘আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে এ ভাবে ভাইকে বেঁধে রাখতে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়ছে। কী থেকে কী হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। ডাক্তার দেখিয়ে এখন কিছুটা ভাল আছে।’’
শুক্রবার কিশোরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যেরা। তাঁদেরই একজন দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, ‘‘এখনও শহরাঞ্চলের মানুষ যে কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন, তা এই ঘটনা দেখে বোঝা যায়। আমরা কিশোরের পরিবারকে বলেছি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। কুসংস্কার দূর করতে এই এলাকায় আমরা সচেতনতা শিবির করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy