—প্রতীকী চিত্র।
দলবল নিয়ে এসে বাস সিন্ডিকেটের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সিইএসসি অফিসের পাশে, ফায়ার সার্ভিস বাসস্ট্যান্ডে। প্রাক্তন ওই পুরপ্রতিনিধির দাবি, পুরসভার জায়গায় অনুমতি না নিয়ে বেআইনি ভাবে বাস রাখা হচ্ছে। তাই তালা ঝোলানো হয়েছে বাস সিন্ডিকেটের অফিসে। যদিও অভিযোগ, মহম্মদ রুস্তম নামে ওই প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির লোকজন নিয়মিত বাসস্ট্যান্ডে লাক্সারি বাস রাখতে দিয়ে তোলাবাজি করতেন। সম্প্রতি তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতী নিয়ে এসে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে গোলাবাড়ি থানা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাঙালবাবু সেতুর পাশে ফায়ার সার্ভিস বাসস্ট্যান্ড থেকে দীর্ঘদিন ধরেই জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের আওতায় থাকা ২৪এ রুটের ৩৭টি বাস চলে। কয়েকটি দূরপাল্লার বাসও চালানো হয়। বাসমালিকদের অভিযোগ, তিন দিন আগে হাওড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি, তৃণমূলের মহম্মদ রুস্তম এবং তাঁর দলবল জোর করে স্ট্যান্ডের সিন্ডিকেট রুমে তালা ঝুলিয়েছেন। প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির পাল্টা দাবি, ওই জায়গায় বাস রাখার টেন্ডার পেয়েছেন।
ওই বাসস্ট্যান্ডের বাসমালিকদের সংগঠন, ‘২৪এ/১ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক মহম্মদ রিয়াজুদ্দিন বলেন, ‘‘ওই পুরপ্রতিনিধি সমাজবিরোধীদের এনে স্ট্যান্ডটি দখল করতে চাইছেন। আমাদের খুনের হুমকিও দিয়েছেন। কোনও টেন্ডার তিনি পাননি। ওই বাসস্ট্যান্ডে রাতে লাক্সারি বাস রাখতে দেওয়া পরিবর্তে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হত। পুলিশ তা বন্ধ করে দেওয়ার পরেই আমাদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন পুরপ্রতিনিধি।’’ বাসমালিকেরা জানান, ওই ঘটনার পর থেকে বাসকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাসমালিকদের আরও অভিযোগ, রাত হলেও ওই স্ট্যান্ডে নানা ধরনের অসামাজিক কাজ শুরু হয়। এ দিকে মহম্মদ রুস্তম সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাসমালিকেরা বেআইনি ভাবে স্ট্যান্ডে বাস রাখছেন। ওখানে বাস রাখার অনুমতি নেই। ওটা হাওড়া পুরসভার জায়গা। তাই অফিসে তালা মেরে দিয়েছি।’’ হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ডটি হাওড়া পুরসভার জমির উপরে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পুরসভার জমি হলে ওই তালা খোলানোর ব্যবস্থা হবে। তবে এক জন ব্যক্তিগত ভাবে এ ভাবে কোনও অফিসে তালা দিতে পারেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy