—নিজস্ব চিত্র।
আচমকাই ধেয়ে এল কিলো কিলো গলদা চিংড়ি। আর তা ধরতে হুড়োহুড়ি গঙ্গার ঘাটে। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে তো কী হয়েছে! লোভ সামলাতে না পেরে প্যান্ট-জামা পাড়ে খুলে রেখে কেউ কেউ তো নেমেই গেলেন কোমর জলে। হাত নেড়ে নেড়ে তুলে আনলেন একের পর এক গলদা চিংড়ি। আর মুখে পরিতৃপ্তির হাসি!
শনিবার সন্ধ্যায় এমনই দৃশ্য দেখা গেল হুগলির শেওড়াফুলিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যা নামার খানিক আগেই শেওড়াফুলি গঙ্গার ঘাটে ভিড় করতে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে গলদা চিংড়ি। শেওড়াফুলি ফেরিঘাট থেকে শুরু করে আদিঘাট, কালিবাড়ির ঘাট-সহ বেশ কয়েকটি ঘাটেই দেখা গেল এই দৃশ্য। তা দেখে গঙ্গার পাড়ে থাকা লোকেদের আর থামায় কে! গঙ্গার ঘাটে এত গলদা চিংড়ি কেন এল, কোথা থেকে এল— সে সব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আশপাশ থেকে পলিথিন জোগাড় করে সোজা জলে নেমে পড়লেন তাঁরা। পরে ব্যাগভর্তি গলদা চিংড়ি নিয়ে জল থেকে উঠে এলেন তাঁরা। গঙ্গা মা-কে প্রণাম জানিয়ে কেউ দুই কেজি, কেউ আবার চার-আট কেজি চিংড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন।
গঙ্গায় ভাল মানেরই গলদা চিংড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আচমকা এত পরিমাণে চিংড়ি কোথা থেকে এল ভেবেই অবাক হচ্ছেন জেলেরা। কারও কারও অনুমান, একটি লঞ্চ শেওড়াফুলি ঘাটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় জালে ধরা পড়া গলদা চিংড়ি কোনও কারণে জলে পড়ে গিয়েছে। এর আগে শেওড়াফুলি ঘাটে কচ্ছপ ও বিভিন্ন প্রকারের মাছের ভিড় দেখেছিল জনতা। কিন্তু গলদা চিংড়ি এই প্রথম। গঙ্গার জোয়ার আসার পরেই থামলা চিংড়ি ধরার পালা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy