E-Paper

পড়ুয়াদের পাতে আনাজ দিতে ভরসা স্কুলের বাগান

চাষে সাফল্যও মিলছে। চলতি মরসুমেই মিড ডে মিল এবং ছাত্রাবাসের পড়ুয়াদের খাবারে আনাজের পরিমাণ বাড়ানো গিয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৫
গোঘাট হাইস্কুল চত্বরে কিচেন গার্ডেন।

গোঘাট হাইস্কুল চত্বরে কিচেন গার্ডেন। নিজস্ব চিত্র।

সব জিনিসের বাজার দর বাড়ছে। তা থেকে বাদ পড়ছে না আনাজও। সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী স্কুলের মিড ডে মিল ও ছাত্রাবাস চালাতে হিমসিম অবস্থা। পাতে পুষ্টিকর আনাজের পরিমাণ কমছিল। এই পরিস্থিতিতে লাগাম দিতে গোঘাট হাইস্কুল চত্বরের ১২ কাঠা জমিতে কিচেন গার্ডেন করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।।

চাষে সাফল্যও মিলছে। চলতি মরসুমেই মিড ডে মিল এবং ছাত্রাবাসের পড়ুয়াদের খাবারে আনাজের পরিমাণ বাড়ানো গিয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। এই ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলার সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের এক কর্তা বলেন, “ভাল উদ্যোগ। যে সব স্কুলে জায়গা আছে তাদের কিচেন গার্ডেন করতে বলা হচ্ছে আগে। এর ফলে মিলের সবজির খরচ কিছুটা কমানো যাবে।’’

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিল উপভোক্তা ৩৬৮ জন। মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিলে মাথা পিছু বরাদ্দ ৮ টাকা ১৭ পয়সা। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বরাদ্দ ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, মিড ডে মিলের মোট উপভোক্তার ৮৫ শতাংশ পড়ুয়ার জন্য পয়সা দেওয়া হয়। কিন্তু স্কুলের হিসেব বলছে, অধিকাংশ দিন ৯০ শতাংশেরও বেশি পড়ুয়ার পাত পড়ে।

এ ছাড়া ছাত্রাবাসে ৫৫ জন তফসিলি জাতি এবং উপজাতি পরিবারের ছাত্র আছে। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ এবং আদিবাসী উন্নয়ন পরিকল্পনা দফতরের অধীন ছাত্রাবাসে ছাত্রদের মাথা পিছু বরাদ্দ ১ হাজার টাকা মাসে। তার মধ্যেই বিদ্যুৎ বিল- সহ যাবতীয় খরচ চালাতে হয়। দ্রব্যমূল্য সামাল দিয়ে ছাত্রদের পাতে বিশেষ সবজি দেওয়া যাচ্ছিল না।

এই পরিস্থিতিতে স্কুলের ছাত্রাবাসের সামনে ১২ কাঠা জমির মধ্যে ৮ কাঠায় আলু চাষ হয়েছে। বাকি ৪ কাঠায় হয়েছে পালং শাক, টোম্যাটো, বেগুন, কাঁচালঙ্কা, কুমড়ো চাষ। আলু উঠে গেলে সেখানে ঢেঁড়স, পুঁই শাক, পেঁয়াজ চাষ হবে বলে জানান কিচেন গার্ডে তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত স্কুলের করণিক সুবোধ সাঁতরা।

প্রধান শিক্ষক তরুণকান্তি কোনারের কথায়, ‘‘বাজার দর অনুপাতে ছাত্রদের মিড ডে মিল পিছু বরাদ্দ বাড়েনি। ছাত্রাবাসেও উপযুক্ত পুষ্টির দরকার। এই অবস্থায় কিচেন গার্ডেনের উৎপাদন থেকে ঘাটতি অনেকটাই সামলানো গিয়েছে।’’ আর স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি নারায়ণচন্দ্র পাঁজা বলেন, “পড়ুয়াদের পাতে সারা বছর পুষ্টি বজায় রাখা সমস্যা হচ্ছিল। ছেলেরা যাতে আরও তাজা এবং সুস্বাদু পুষ্টিকর খাবার পায়, সেই লক্ষ্যে পুরোপুরি জৈব পদ্ধতিতে চাষ করছি আমরা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Goghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy