সেন বাড়ির দুর্গা প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র।
৩২১ বছরে পড়ল বলাগড় মন্দিরতলার সেন বাড়ির দুর্গা পুজো। প্রতি বছরই এই পুজোর টানে ঘরে ফেরেন বাড়ির অনেক সদস্য। এই জাঁকের পুজোর অপেক্ষায় থাকেন এলাকাবাসীও। তবে বাড়ির সদস্যরা জানান, আর জি কর কাণ্ডের জেরে কিছুটা ম্লান এ বারের পুজো। প্রতি বছর পুজো উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর সেই অনুষ্ঠানের পুরস্কারের নামকরণ হয়েছে ‘অভয়া’।
সেন বাড়ি থেকে জানা গিয়েছে, এক সময় বলাগড়ের মন্দিরতলায় কোনও দুর্গা পুজো হত না। সেন পরিবারের কর্তা অশ্বিনীকুমার সেনের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পুজো। কথিত আছে, অশ্বিনী গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে একটি কালো শিলা পান। পরে স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাড়িতে মনসা পুজো শুরু করেন। ফের মনসা তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন, দিদি-বোন অর্থাৎ দুর্গা এবং লক্ষ্মীকেও পুজো করতে হবে। সেই থেকেই পাকা দালানে দুর্গাপুজো শুরু হয়। প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ঘোড়াবাহিনী দেবীর মূর্তি।
এখন বাড়ির পাকা দালান নেই। ইটে ঘুণ ধরেছে। মণ্ডপ খাটিয়েই বর্তমানে পুজো হয়। পার্থ সেন নামে বাড়ির বর্তমান এক সদস্য জানান, নিয়ম মেনে পাঁচ দিনে পুজো সম্পন্ন হয়। অষ্টমীতে আখ, কুমড়ো ও কলা বলি হয়। থাকে অষ্টমী, সন্ধি ও সন্ধ্যা আরতির ভোগ। ধুনো পোড়ানোরও নিয়ম রয়েছে।
বাড়ির আর এক সদস্য লক্ষ্মী সেনের কথায়, ‘‘এ বারের পুজোটা অন্য রকম। এ বার আড়ম্বর কম। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পুরস্কারের নাম বদল করা হয়েছে। দেবীর পাশাপাশি এটাই আমাদের তরফে অভয়াকে শ্রদ্ধার্ঘ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy