থানার সামনে বসে বিক্ষোভ বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের। বৃহস্পতিবার বিকেলে খানাকুলে। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি বিধায়কের গাড়ির কাচ ভাঙল ইটের আঘাতে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খানাকুলের কিশোরপুর ১ পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের গাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বিজেপি পরে থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করে। আরামবাগ গড়েরঘাট রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুলিশ দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে ক্ষোভ-অবরোধ ওঠে। তৃণমূলের দাবি, ‘জনরোষে’ এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার নিন্দা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট-বার্তায় বলেন, ভোটের শুরু থেকেই তৃণমূল নানা ভাবে সন্ত্রাস করেছে। বোর্ড গঠনেও সেই পরিস্থিতি চলছে। শুভেন্দুর মতে, রাজ্যের এক জন বিধায়ক যেখানে আক্রান্ত, সেখানে ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের জয়ী বিরোধীদের কী অবস্থা কী হবে পারে!
সুশান্ত এ বার হুগলি জেলা পরিষদের আসনে লড়ে জিতেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাদের জয়ী প্রার্থীদের পঞ্চায়েতে শপথ নিতে ঢুকতে দিচ্ছিল না তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তাঁদের পঞ্চায়েতে পৌঁছে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করার সময়ে তৃণমূলের নইমুল হকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। পিছন থেকে বাঁশ দিয়ে আমার পিঠেও মেরেছে। ইট-পাটকেল ছুড়ে আমার গাড়িও ভাঙচুর করেছে।’’ নইমুল-সহ জনা তিরিশ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিধায়কের আরও অভিযোগ, বুধবার ঘোষপুর পঞ্চায়েতে তাঁদের জয়ী প্রার্থীরা শপথ নিতে গেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ দিন পোল ২ পঞ্চায়েতে ঢুকতে গেলে মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ সবের জেরেই কিশোরপুর ১ পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্যকে তিনি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সুশান্ত।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নইমুল বলেন, “আমি বা আমাদের দলের কেউ ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। জনরোষে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি।” আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, “ইতিমধ্যে আমরা ৪ জনকে আটক করেছি। তদন্ত করে বাকি দোষীদেরও ধরা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy