E-Paper

বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির ফেরিঘাটে মাসুলে ছাড়

শুক্রবার ব্যাপক পুলিশ নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত সমিতি চত্বরেই ব্লক এলাকার মোট ১৩টি ফেরিঘাটের মধ্যে ৫টিরর নিলাম ডাকা এবং ইজারার নিষ্পত্তি হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবিমতো অবশেষে খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালিত ফেরিঘাটগুলি পার হতে অনেক ক্ষেত্রে মাসুলে ছাড় দেওয়া হল। ছাত্র-ছাত্রী, রোগী এবং সাধারণ মানুষকে নৌকায় পারাপার করতে আর কোনও টাকা দিতে হবে না। তাঁরা নিখরচায় নৌকায় সাইকেলও তুলতে পারবেন। যে সব ফেরিঘাট সাঁকোয় যুক্ত, হেঁটে সেই সাঁকো পেরোতেও কাউকে টাকা দিতে হবে না। শুক্রবার ব্যাপক পুলিশ নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত সমিতি চত্বরেই ব্লক এলাকার মোট ১৩টি ফেরিঘাটের মধ্যে ৫টিরর নিলাম ডাকা এবং ইজারার নিষ্পত্তি হয়।

বিডিও মধুমিতা ঘোষ বলেন, “৫টি ফেরিঘাটের ডাক সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। বাকি ফেরিঘাটগুলিরও দফায় দফায় ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুম্পা মণ্ডল বলেন, “ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে খানাকুল ২ ব্লক এলাকার মানুষকে বর্ষায় তো বটেই, যোগাযোগ নিয়ে সারা বছরই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তার উপর ফেরিঘাটগুলির মাসুলও যথেচ্ছ ছিল। এ বার আমাদের এই ব্যবস্থাপনায় মানুষ নিশ্চিত ভাবে উপকৃত হবেন।” তিনি আরও জানান, কয়েকটি ক্ষেত্রে মাসুলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। মোটরবাইক, পণ্যবাহী গাড়ি এবং যাত্রিবাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও গত দফার তুলনায় মাসুল কমানো হয়েছে।

এই প্রথম বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির এই সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ খুশি। নদ-নদী ঘেরা এই ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষকে বাড়ি থেকে বের হলেই একাধিক খেয়াঘাট পার হতে হয়। একাকী হেঁটে চাষের জমি দেখতে গেলেও ফেরিঘাটপিছু ৩ টাকা করে যাতায়াতে ৬ টাকা মাসুল গুনতে হচ্ছিল এতদিন। সাইকেলে গেলে ৬ টাকা করে ১২ টাকা লাগত।

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে একবার ফেরিঘাট ব্যবহারের জন্য মাথাপিছু মাসুল ছিল ৩ টাকা। সাইকেল নিয়ে গেলে মাথাপিছু ৬ টাকা। তা এ বার পুরো মকুব করা হয়েছে। ছাগল-গরু পারাপারে মাসুলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগে মোটরবাইকের মাসুল ছিল ৭ টাকা। তার একজন আরোহীর জন্য ৩ টাকা। সব মিলিয়ে ১০ টাকা। এ বার তা কমে হয়েছে ৫ টাকা।

বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির এই উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রমেন প্রামাণিক বলেন, “এতে বিজেপি বোর্ডের কোনও কৃতিত্ব নেই। পঞ্চায়েত সমিতিতে আমাদের দলের সদস্যদের চাপেই এটা করতে বাধ্য হয়েছে তারা।” এ কথা উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পাল্টা প্রশ্ন, মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও ওরা (তৃণমূল) আগের দু’দফায় করেনি কেন?

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Khanakul BJP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy