E-Paper

বৈঠকে মিটল না অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি

সংগঠনের সহ-সম্পাদক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হবে বলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০১
বিক্ষোভ পুরকর্মীদের।

বিক্ষোভ পুরকর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।

মাসিক ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে সোমবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। সেই মতো এ দিন সকাল থেকেই কর্মবিরতি চলল হুগলি-চুঁচুড়া অস্থায়ী মজদুর ও কর্মচারি সংগঠনের পক্ষে। এ দিন পুর-পারিষদ কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল তাঁদের দাবি সনদ তুলে ধরেন।

সংগঠনের সহ-সম্পাদক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হবে বলে পুরপ্রধান জানিয়েছেন। আপাতত কর্মবিরতি থেকে তাঁরা সরে যাচ্ছেন। যদিও পুরসভা সূত্রের খবর, বেতন বাড়ানোর দাবি কোনও ভাবেই মানা হয়নি। পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী বলেন, “কোষাগারের অবস্থা ভাল নয়। মাসিক মজুরি দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। কোষাগার মজবুত হোক। তার পরে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে ভাবা হবে।”

এ দিকে কর্মবিরতি পালন করা সংগঠনকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ওই সংগঠনের কথায় তারা কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় পড়ে না। যদিও পুরপ্রধান অমিত রায়ের দাবি, ওই সংগঠন সিপিএম প্রভাবিত। তাঁর বক্তব্য, “রেজিস্ট্রেশন ছাড়া একটি ইউনিয়ন। সিপিএমের লোকেরা রয়েছে। উন্নয়নের কাজ থমকালে
অন্য কিছু ভাবা হবে। প্রয়োজনে মজুরি কাটা হবে।”

অমিতের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সমীর মজুমদার বলেন, “ওই সংগঠনে সব দলের লোকেরাই হয় তো আছেন। আমরাও তাঁদের দাবি সমর্থন করি। কিন্তু এঁর মানে এটা নয় যে ওই সংগঠন সিপিএম প্রভাবিত।”

পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের ওই সংগঠনটি ছাড়াও সিটু এবং তৃণমূলের সংগঠনও রয়েছে। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অন্য দুই সংগঠন সম্মতি জানালেও সোমবারের কর্মবিরতিতে তারা যোগ দেয়নি। সিটুর সদস্যদের এ নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূল সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, সাধারণের অসুবিধে করে পরিষেবা বন্ধ করেননি তাঁরা।

পুরসভা সূত্রে খবর, ৮০ শতাংশ কর্মচারীই এ দিন কাজ করেছেন। ফলে মাত্র ২০ শতাংশের আন্দোলনের খুব একটা প্রভাব পড়েনি বলেই
মনে করছেন পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী। তবে তিনি জানান, কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন সমর্থনযোগ্য নয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy