বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক মানেই বিতর্ক। কখনও নির্দিষ্ট কোনও সদস্যের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়, কখনও কারও মন্তব্য নিয়ে জল্পনা। তবে এ বার কোনও ‘পাত্র’ নন, বিতর্ক বাধল স্থান নিয়ে। সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন কোর কমিটিরই এক সদস্য তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ।
কোর কমিটির কনভেনর (আহ্বায়ক) অনুব্রত মণ্ডলের (কেষ্ট) ডাকে রবিবার বিকেলে বৈঠক হয় সিউড়িতে। কিন্তু এ বার দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা হয়নি। বৈঠক বসে সরকারি সার্কিট হাউসে। দলীয় আলোচনা কেন সরকারি জায়গায় হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই কোর কমিটির এক এক সদস্যের এক এক মত। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীর মত, বৈঠকের বিষয়বস্তু যেহেতু উন্নয়ন, তাই সার্কিট হাউসকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, কাজল জানাচ্ছেন, দলীয় কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক হওয়া উচিত। তিনি নিজেও কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বৈঠকে যোগ দেবেন বলে। সেখানে গিয়ে শোনেন, সার্কিট হাউসে যেতে হবে।
এখন কেন সরকারি সার্কিট হাউসে বৈঠক হল, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন কনভেনরই (অনুব্রত)। তিনি বলেন, ‘‘সার্কিট হাউজে বৈঠক ডাকার কারণ কোর কমিটির কনভেনার বলতে পারবেন। সিউড়িতে বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী প্রথমে গাড়ি নিয়ে দলীয় কার্যালয়েই পৌঁছোই। পরে জানতে পারি, সার্কিট হাউসে মিটিং হবে। সেখানেই গিয়েছি।’’
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, কোর কমিটির বৈঠকেই আবার অনুব্রত-কাজলের মতভেদের খবর মিলেছে। তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, বৈঠকের দুবরাজপুর এলাকায় কমিটি গঠন থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে দুই নেতার মধ্যে ‘তীব্র বাগ্বিতণ্ডা’ হয়েছে। প্রকাশ্যে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। সদস্যেরা সকলেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গোল গোল জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, এসআইআর নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়েছে। কাদের নাম বাদ গিয়েছে, এর ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ করা হবে ইত্যাদি প্রভৃতি। কাজলের কথায়, ‘‘দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক নিয়ে তো বাইরে কিছু বলা যায় না। এ টুকু বলতে পারি, জেলার সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।