ডোমজুড়ের সোনার দোকানে ডাকাতি। ছবি: সংগৃহীত।
ডোমজুড়ের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। দোকানের মালিককে ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার চলে পুনর্নির্মাণ। কী ভাবে ডাকাতরা দোকানে ঢুকে লুট করে গয়না, তা দেখান মালিক এবং তাঁর ছেলে। সে দিনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে দোকান থেকে সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার ডোমজুড়ের এক সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন দোকানের মালিক এবং তাঁর ছেলে। ভর্তি করানো হয় আন্দুলের এক নার্সিংহোম। বুধবার সেখান থেকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার পর ডোমজুড় থানার পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে যায় পুলিশ। সেখানে দোকানের শাটার বন্ধ করে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে ডাকাতেরা কী ভাবে রিভলভার দেখিয়ে সোনা, রুপো এবং হিরের গয়না নিয়ে চম্পট দেয়, তা দু’জনে পুলিশকে দেখান।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ চার সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই সোনার দোকানে ঢোকে। তার পর বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারধর করে কর্মীদের বেঁধে ফেলে লুটপাট চালায়। গত রবিবার পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সাত ডাকাত মিলে অস্ত্র দেখিয়ে ওই দোকান থেকে সর্বস্ব লুট করে পালায়। দোকান থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিকের মুখোমুখি পড়ে যায় ডাকাতেরা। ওই পুলিশ আধিকারিকের ছোড়া গুলিতে আহত হয় এক ডাকাত। বাকিরা জখম সঙ্গীকে নিয়ে চম্পট দেয় রানিগঞ্জ শহরের মধ্যে দিয়ে। পরবর্তী সময়ে অবশ্য ওই ডাকাতদলের দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy