দু'দিন আগেই দিল্লির কৃষক-নেতারা এসেছিলেন এ তল্লাটে। শুক্রবার সেই কৃষক আন্দোলনের জয় দেখে পান্ডুয়ার খন্যানে জিটি রোডের ধারে আবির খেলায় মাতলেন অনেকে। দেদার মিষ্টি বিলি হল।
জয় কিসান সংগঠনের হুগলি জেলা শাখার সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি বলেন, ‘‘এক বছর ধরে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিয়েছি, ভারতবর্ষের কৃষকরা সংগঠিত। দেশের অনেক রাজ্যের কৃষকরা দিল্লিতে টানা আন্দোলন করেছেন। প্রায় ৬৫০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তবুও আমরা আন্দোলন থেকে বিরত থাকিনি। বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী পিছু হটলেন। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। কৃষক আন্দোলনে সাফল্য এটা। তাই আমরা একত্রিত হয়ে জয়ের উল্লাস করছি।’’
গত বুধবার পান্ডুয়ার ছোট সরসা গ্রামে এসে বৈঠক করেছিলেন দিল্লির কৃষক নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সর্বভারতীয় কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব। ছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষক প্রতিনিধি দলও। যোগেন্দ্র জানিয়েছিলেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিটা জেলায় গিয়ে তাঁরা কৃষকদের নিয়ে আন্দোলন করবেন। এলাকার ছোটবড় অনেক চাষি উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।
দু’দিন পরেই প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করায় সেই কৃষক আন্দোলনেরই জয় দেখল পান্ডুয়া। ‘জয় কিসান’ সংগঠনের সদস্যেরা আনন্দে মাতলেন।