প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকের পর এ বার চুঁচুড়া থেকে গ্রেফতার মানবাধিকার সংগঠনের ভুয়ো আধিকারিক। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম রঞ্জন সরকার। পুলিশ জানিয়েছে, মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ঘোরাফেরা করতেন রঞ্জন, দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতেন। পাশাপাশি একাধিক গাড়ি ও দামি বাইক দেখা যেত তাঁর অফিসে। গাড়িতে ব্যবহার করা হত নীলবাতি। চন্দননগরের ডিসি জানিয়েছেন, ‘‘একাধিক জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রঞ্জন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সব নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক ভুয়ো আধিকারিক ধরা পড়ার পর নীলবাতি নিয়ে ঘোরা একটু কমেছিল রঞ্জনের। সম্প্রতি সব গাড়ি ও বাইকে সংবাদ মাধ্যমের স্টিকার ব্যবহার করত সে। রবিবার রাতে হুগলি মোড়ে নাকা তল্লাশি চলার সময় রঞ্জনের অফিসে থাকা এক ব্যাক্তিকে ‘প্রেস’ লেখা একটি স্কুটি-সহ আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ রঞ্জনের অফিসের কথা জানতে পারে। সোমবার বিকেলে ঋষিকেশ পল্লীর ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে হানা দেয় চুঁচুড়া পিপুলপাতির কাছে মল্লিকবাটি স্কুলের সামনে রঞ্জনের বাড়িতেও। রঞ্জনের বাড়ি ও অফিস থেকে মোট ৪ টি দামি গাড়ি ও ৪ টি বাইক পুলিশ আটক করে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি-১ মৌমিতা সেনের নেতৃত্বে পুলিশ রঞ্জনের অফিসে তল্লাশিতে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে অভিযুক্তকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। ঠিক কী ভাবে প্রতারণার জাল তিনি বিছিয়ে ছিলেন, তা জানার চেষ্টা করে পুলিশ। তারপরেই রঞ্জনকে গ্রেফতার করা হয়।
কয়েকজন যুবক অভিযোগ করেছেন, তাঁদেরকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন রঞ্জন। বলাগড়ের যুবক সমরেশ পাল বলেন, ‘‘গ্রুপ ডি ও রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন লোকের থেকে টাকা তোলেন রঞ্জন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy