Advertisement
০৭ মে ২০২৪
BJP Leader

‘পুত্রকে খুন করা হয়েছে’, হুগলির বিজেপি নেতার বাবার অভিযোগ দায়ের কল্যাণী থানায়

শনিবার পুত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে সুদীপ ঘোষের পরিবারের সদস্যরা এবং বিজেপির হুগলি জেলা নেতৃত্ব কল্যাণীতে পৌঁছন। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Father of dead BJP leader lodges complain of murder to police

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কল্যাণী  শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৮
Share: Save:

তাঁর পুত্রকে খুন করা হয়েছে। এই মর্মে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন হুগলির ধনিয়াখালির প্রয়াত বিজেপি নেতা সুদীপ ঘোষের বাবা সুফলচন্দ্র ঘোষ। শনিবার কল্যাণীর একটি হোটেলে সুদীপের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সুদীপের বাবার অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেওয়ায় তাঁর ছেলেকে খুনের হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল।

শনিবার পুলিশ মারফত পুত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে সুদীপের পরিবারের সদস্যরা এবং বিজেপির হুগলি জেলা নেতৃত্ব কল্যাণীতে পৌঁছন। জহরলাল নেহরু হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর ওই দিনই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পর সুফলচন্দ্র কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে, তাঁর পুত্রকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। সুদীপের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও অভিযোগপত্রে লিখেছেন তিনি। বিজেপির দাবি, রাত ২টোর সময় সুদীপের দেহ দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন। এতে রহস্য রয়েছে বলে মনে করেছেন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার। পুলিশকে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুষার। সুফলচন্দ্র বলেন, ‘‘আমি থানায় অভিযোগ করেছি, ওকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। শাসকদল ছাড়া আর কে এই কাজ করবে? পঞ্চায়েত ভোটের সময় ওকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। প্রার্থী তুলে নিতে ওকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য ওকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেও বলেছিল তৃণমূল।’’

সম্প্রতি হুগলিতে বিজেপির সাংগঠনিক পদে রদবদল হয়। পুরনো মণ্ডল সভাপতিদের সরিয়ে নতুন সভাপতি ঘোষণা করা হয়। সুদীপকে করা হয় ধনিয়াখালি-২-এর সভাপতি। গত ৪ অগস্ট চুঁচুড়ায় বিজেপির হুগলি জেলা কার্যালয়ে নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সুদীপ। তিনি গত ৩ অগস্ট বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ মাকে ফোনে জানিয়েছিলেন যে, তিনি মগরায় রয়েছেন। ৫ অগস্ট সকালে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ৫ অগস্ট তাঁর দেহ উদ্ধার হয় কল্যাণীর হোটেল থেকে। হোটেলের ঘর থেকে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সুদীপের দুই সন্তান আছে। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না বলেই দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি।

এ নিয়ে ধনিয়াখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ‘‘কে কোথায় কী ভাবে মারা গেল, তার দায় তৃণমূলের নয়। এ সব মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ নেই। উনি খুন হয়েছেন না কি আত্মহত্যা করেছেন, তা পুলিশ দেখবে।’’ তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘‘তৃণমূলের এত দুর্দিন আসেনি যে বিজেপির এক সভাপতিকে মারতে যাবে। যে মণ্ডল সভাপতির বাড়ি গুড়াপে তিনি কল্যাণীর হোটেলে কেন গিয়েছিলেন?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Leader BJP TMC Death Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE