স্কুলে ভর্তির জন্য লাগানো হয়েছে ফ্লেক্স। —নিজস্ব চিত্র।
বিভিন্ন সরকারি স্কুলে পড়ুয়া কমছে। এর সমাধানে পড়াশোনার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক বিষয়ে পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে আন্দুলের মহিয়াড়ি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বার সে কথা বিস্তারিত উল্লেখ করে শহরের অলিগলিতে ফ্লেক্স টাঙিয়েভর্তির প্রচার চালানো শুরু করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফ্লেক্সে টেবিল টেনিস, জিম ও ব্যান্ডের প্রশিক্ষণের কথাও রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ সেন জানান, ২০১৯ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছিল ২২৭ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন ২১ জন। অতিমারিতে দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়া কমেছিল। তাঁর কথায়, “অভিভাবকদের মানসিকতা সন্তানদের বেসরকারি স্কুলে পড়াবেন। কারণ, সেখানে পড়াশোনার সঙ্গে সাংস্কৃতিক নানা বিষয়ের প্রশিক্ষণ ও চর্চা হয়। আমরাও ঠিক করলাম, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই পড়ুয়াদের সাংস্কৃতিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। এক-দু’বছরেই পড়ুয়াসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেল। তাই এ বছর আমরা ফ্লেক্সে বিস্তারিত লিখে প্রচার করছি।”
এক অভিভাবকের কথায়, “সরকারি বিদ্যালয়ে কার্যত বিনামূল্যে পঠনপাঠন হয়। বিনামূল্যে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাও আছে। এ ছাড়া সাইকেল দেওয়া হয়, কন্যাশ্রীর টাকা এবং ট্যাব পাওয়ার সুযোগও আছে। এই সুবিধেগুলি বেসরকারি স্কুলে নেই। এখন তো পড়াশোনার সঙ্গে নাচ-গানও শিখবে বাচ্চারা। তাই মেয়েকে এই স্কুলেই ভর্তি করলাম।”
হাওড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় পাল বলেন, “বিষয়টি শুনে ভাল লাগছে। সরকার নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। শিক্ষকেরা উদ্যোগী হয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেই স্কুলের পড়ুয়ারাও নানা বিষয় শিখতে পারবে। প্রতিটি স্কুলেরই উচিত পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক শিক্ষায় পড়ুয়াদের পারদর্শী করে তোলা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy