ফাঁকা চুঁচুড়া পুরসভার অফিস। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
সময়ে মজুরি না মেলায় অস্থায়ী কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে টানা দু'দিন পরিষেবা বন্ধ রইল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায়। ফলে, তীব্র গরম উপেক্ষা করে নানা পরিষেবা নিতে আসা শহরের বহু বাসিন্দাকেই বৃহস্পতিবারও ফিরে যেতে হল। পরপর তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী সোমবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে পুরসভার তরফে।
বুধবারের পরে এ দিনও সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় পুরসভার গেটের সামনে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পুরপ্রধান অমিত রায় এলে বিক্ষোভকারীদের এক প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। ঘণ্টাদেড়েকের বৈঠকে পুর-পারিষদরাও ছিলেন। বৈঠক শেষে বিক্ষোভকারীদের পক্ষে অসীম অধিকারী বলেন, ‘‘আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে মজুরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আপাতত আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’’ পুরপ্রধানও বলেন, ‘‘সমস্যা মিটেছে। সোমবার থেকে স্বাভাবিক ভাবেই পুরসভা খোলা থাকবে।’’
বিগত কয়েক মাসের মতো চলতি মাসেও সময়ানুযায়ী ১০ তারিখের মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করা অস্থায়ী কর্মীদের মজুরি হয়নি। বুধবার সকাল থেকে পুরসভার গেট বন্ধ করে অবস্থান শুরু করেন কর্মীরা। পুরপ্রধান এলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। অভিযোগ, অমিতের সঙ্গে আসা পুরসভার এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী অবস্থানরত এক মহিলাকে চড় মারেন। এ নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা কোনও ক্রমে ঘটনাস্থল থেকে পুরপ্রধান ও অভিযুক্ত মহিলাকে সরিয়ে দেন। অভিযুক্ত মহিলাকে ক্ষমা চাইতে হবে, এই দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার অসীম জানান, অভিযুক্ত মহিলা আগামী সোমবার এসে ক্ষমা চাইবেন বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
সাহাগঞ্জ থেকে পুরসভায় আসা এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘ছেলে বাইরে থাকে। বাড়িতে জলের লাইনের সমস্যা। কী করতে হবে জানতে এই গরমের মধ্যে পুরসভায় এসেছিলাম। ঢুকতেই পারলাম না।’’ একই ভাবে ভুগতে হয়েছে আরও অনেককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy