আর জি কর-কাণ্ডের পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র দিকে আঙুল তুলছেন চিকিৎসকদেরই একাংশ। চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) অভিযোগ, সেই লবির অঙ্গুলিহেলনেই বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রিত হয়। রবিবার চুঁচুড়ায় সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আইএমএ।
এ নিয়ে ওই সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশকে নিশানা করেন আইএমএ-র হুগলি-চুঁচুড়া শাখার সম্পাদক ইন্দ্রনীল চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে কিছু চিকিৎসক সপ্তাহে মাত্র দু’দিন ডিউটি করেন। বাকি সময়ে বাইরে চেম্বার করেন।’’ তাঁর দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসকদের কোনও বিরুদ্ধ সংগঠন নেই, যাঁরা চিকিৎসকদের অনিয়মের বিরুদ্ধে গলা তুলবেন। হাসপাতালে হাজার হাজার গরিব মানুষ পরিষেবার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। সেখানে চিকিৎসকদের একাংশ নিয়ম না মানলেও বিরোধিতা হয় না।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য-প্রশাসনে থাকা কারও কারও দীর্ঘ দিন ধরে বদলি না হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য-মাফিয়া চক্রের রমরমা অনেক দিন ধরেই রয়েছে। আর জি করের ঘটনার পরে এই বিষয়ে সত্যিই ভাবার সময় হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে প্রবীণ চিকিৎসক অক্ষয় আঢ্যও ছিলেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নাগরিক বা কোনও সংগঠনের অভিযোগ থাকলে লিখিত আকারে জানাতেই পারে। তবে কোনও বেসরকারি সংগঠন হঠাৎ করে সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললে তার উত্তর দিতে আমার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)