E-Paper

সেচ দফতরের জমিতে ‘অবৈধ’ নির্মাণ, ক্ষোভ

চন্দননগর মহকুমা সেচ ও জলপথ দফতরের এক আধিকারিক জানান, খাল সংলগ্ন জমি হলেও সেটি সেচ দফতরের কি না সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪১
দীর্ঘাঙ্গি মৌজা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুঙির খাল সংলগ্ন সেচ দফতরের জমিতে অবৈধ নির্মাণ পরিদর্শনে সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা।

দীর্ঘাঙ্গি মৌজা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুঙির খাল সংলগ্ন সেচ দফতরের জমিতে অবৈধ নির্মাণ পরিদর্শনে সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘাঙ্গি মৌজা দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুঙির খাল সংলগ্ন সেচ দফতরের জমি হস্তান্তরের অভিযোগ উঠল। পাশাপাশি সেখানে ‘অবৈধ নির্মাণ’ হয়েছে বলেও অভিযোগ। বৈদ্যবাটী-পিয়ারাপুর জাঙাল রোডের ঘটনা। এলাকাবাসীর থেকে অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ওই নির্মাণ ঘুরে দেখেন সেচ ও জলপথ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা।

চন্দননগর মহকুমা সেচ ও জলপথ দফতরের এক আধিকারিক জানান, খাল সংলগ্ন জমি হলেও সেটি সেচ দফতরের কি না সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘দ্রুত জায়গাটিতে যৌথ ভাবে পরিদর্শনে যাওয়া হবে। যদি দেখা যায়, জমিটি সেচ দফতরের, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাতে সরকারি জমি দখল না হয় সে দিকেও নজর দেওয়া হবে।’’

শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঘুঙির খাল সংলগ্ন জমি হস্তান্তর ও নাম পত্তনের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। খাল সংলগ্ন সরকারি জমি চিহ্নিত করারপ্রক্রিয়া চলছে।’’

সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভদ্রেশ্বর, বৈদ্যবাটী, পিয়ারাপুরের উপর দিয়ে ঘুঙির খালের একটি অংশ বৈদ্যবাটী খাল হয়ে গঙ্গায় মিশেছে। আর একটি অংশ বেলু, মিল্কি ডানকুনি দিয়ে বালি খাল হয়ে গঙ্গায় মিশেছে। শ্রীরামপুর থানা এলাকায় মোট ন’টি মৌজায় ২২১ একর জমি রয়েছে সেচ দফতর অধীনে। কিন্তু সেই জমির অধিকাংশই এখনও ব্যক্তি মালিকানাধীন হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বৈদ্যবাটী পুরসভা ও পিয়ারাপুর পঞ্চায়েতের ১০-১২ হাজার বিঘা চাষের জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় কৃষক মধুসূদন সাঁতরা, চন্দ্রশেখর ঘোষ, মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা ও বিশ্বনাথ ধোলের ক্ষোভ, ‘‘২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ঘুঙির খালের দু’পাড়ের সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ওই খালের পাড় ও সংলগ্ন জমি দখলমুক্ত করতে বহুবার জেলা ও রাজ্য স্তরে জানানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’

শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা কৃষক নেতা বিকাশ দাস বলেন, ‘‘এই অবৈধ নির্মাণের জন্য খাল সংস্কার করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতি বছর বর্ষায় দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা। এলাকায় রবি মরসুমে চাষ বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Illegal Construction Baidyabati

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy