E-Paper

জলমগ্ন হাওড়ায় ভোগান্তি কমাতে ভরসা সেই পাম্প

ছুটির দিনে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দোকান, বাজারে বেরিয়ে নাজেহাল হলেন মানুষ। কোথাও এক ফুট, তো কোথাও দেড় ফুট জল জমে যাওয়ায় স্তব্ধ হল যানবাহন চলাচল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০৮:২৫

—প্রতীকী চিত্র।

রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল হাওড়ার বহু এলাকা। ছুটির দিনে সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দোকান, বাজারে বেরিয়ে নাজেহাল হলেন মানুষ। কোথাও এক ফুট, তো কোথাও দেড় ফুট জল জমে যাওয়ায় স্তব্ধ হল যানবাহন চলাচল। হাওড়া পুরসভার দাবি, জল নামাতে দু’টি বড় পাম্প-সহ মোট ৫৪টি পাম্প চালানো হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে রাতের মধ্যেই অধিকাংশ জায়গা থেকে জল নেমে যাবে।

এ দিন সকাল ৯টা থেকে হাওড়ায় বৃষ্টি শুরু হয়, কখনও মুষলধারে কখনও হালকা। এ ভাবে বৃষ্টি চলে দুপুর ২টো পর্যন্ত। টানা বৃষ্টিতে জল জমে যায় সাঁতরাগাছি স্টেশনের পাশে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের আন্ডারপাসে। জল জমে যায় আশপাশের রাস্তা-সহ ৪৭ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ জায়গায়। প্রায় দেড় ফুট জল জমে যায় জগাছা, রামরাজাতলা, টিকিয়াপাড়া ও বেলগাছিয়ার বির্স্তীণ অংশে। কয়েক ঘণ্টার জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বেনারস রোড, জগাছা ও টিকিয়াপাড়ায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা বলে পরিচিত উত্তর হাওড়ার ৬, ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা। জমা জলে নাজেহাল হন দক্ষিণ হাওড়ার বাসিন্দারাও। সেখানকার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের সন্তোষ দত্ত জলাপাড়ায় জল জমে যায়। জল জমে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের ইছাপুর, ডুমুরজলা এলাকায়। তুলনামূলক ভাবে মধ্য হাওড়ায় জল জমেনি। কয়েকটি জায়গায় অল্প সময়ের জন্য জল জমলেও তা দ্রুত নেমে যায়।

হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বেলগাছিয়ায় ৫৫ অশ্বশক্তির একটি বড় পাম্প চালিয়ে জমা জল সরানো হচ্ছে। একই সঙ্গে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের হ্যাংস্যাং ক্রসিংয়ের কাছে আরও শক্তিশালী, ৩২ অশ্বশক্তির একটি পাম্প চালিয়ে রামরাজাতলার জমা জল সরানো হচ্ছে। সেই জমা জল ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের জ়িরো পয়েন্টে ফেলা হচ্ছে। হাওড়া শহরে জমা জল সরাতে এ দিন ৫৮টি পাম্প চালানো হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Water logged Howrah water logging

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy